বাংলা হান্ট ডেস্ক : পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন। কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে সব পক্ষই। তোড়জোড় চলছে একেবারে জোরকদমে। পিছিয়ে নেই বাংলার শাসক দল তৃণমূলও (TMC)। উন্নয়নকে হাতিয়ার করে গ্রামে গ্রামে পৌঁছে যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বার্তা। এরই মধ্যে জনসংযোগকে আরও বৃদ্ধি করার জন্য নতুন ক্যাম্পেনের ঘোষণা করতে চলেছে তৃণমূল সরকার। জানা যাচ্ছে আগামী ২ জানুয়ারি ঘোষণা করা হবে নতুন সেই প্রকল্প।
‘দিদিকে বলো’, ‘দুয়ারে সরকার’, ‘চলো গ্রামে যাই’-এর জনসংযোগকারী প্রকল্পগুলি ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে। এরপরই আবার এক নতুন প্রকল্প ঘোষণা করে আরও মানুষের কাছে পৌঁছাতে চাইছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই প্রকল্প সম্পর্কে অত্যন্ত গোপনীয়তা অবলম্বন করতে রাজ্য সরকার। বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগামী ১ জানুয়ারি তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস। তারপরের দিন অর্থাৎ ২ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা হবে এই প্রকল্পের। জানা যাচ্ছে, একেবারে তৃণমূল স্তরে জনসংযোগই প্রধান লক্ষ্য হবে এই প্রকল্পের।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সর্বশেষ জনসংযোগকারী প্রকল্প ছিল ‘চলো গ্রামে যাই।’ এই প্রকল্প যথেষ্ট জনপ্রিয় হয় গ্রাম বাংলায়। তৃণমূলের মহিলা কংগ্রেস সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, ‘এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা রাজ্যের সমস্ত পঞ্চায়েতে পৌঁছে যেতে চাই। প্রায় ৩৩৪২ গ্রাম পঞ্চায়েতে আমাদের সকলে পৌঁছে যাবেন। ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরে, রাজ্য জুড়ে একাধিক সামাজিক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। উন্নয়নমূলক প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের জন্য একাধিক স্কিম আনানো হয়েছে। মহিলারা সেই সুবিধা পাচ্ছেন। আগামীদিনেও সেই উন্নয়নের ধারাও বজায় থাকবে৷ এটাই মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার মাধ্যমে বোঝানো হবে ৷’
তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, ‘চলো গ্রামে যাই’ কর্মসূচিতে বিভিন্ন জেলার বুথে বুথে পৌঁছে যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা নেত্রীরা। কোথাও মালা রায়, কোথাও শশী পাঁজা, কোথাও কাকলি ঘোষদস্তিদার–সহ অন্যান্য হেভিওয়েট নেত্রীরা। প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে সভা করছেন তাঁরা। নতুন এই কর্মসূচিতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে গ্রাম এবং পঞ্চায়েতকে। এবার গ্রামে গিয়ে সেখানকার সুখ–দুঃখের কথা জানার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রাম ঘুরে এসে দলের প্রতি সাধারণ মানুষের মনোভাবও জানাতে হচ্ছে শীর্ষ নেতৃত্বকে।