বাংলা হান্ট ডেস্ক : আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) তোলার আগেই আসানসোল সংশোধনাগারে হাজির হলেন সিবিআই-র (CBI) তদন্তকারী আধিকারিকের দল। সিবিআই সূত্রে খবর, বীরভূমের সিউড়ি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে থাকা ভুয়ো অ্যাকাউন্ট নিয়ে তদন্তকারীরা অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। বুধবার আদালতেও এই বিষয়টি সামনে আনেন সিবিআই-র আইনজীবী। এদিন অনুব্রতর আইনজীবী জামিনের কোনও আবেদন করেননি। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুব্রতকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
চোদ্দ দিন পর বৃহস্পতিবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে অনুব্রতকে পেশ করা হয়। এই মামলায় জামিনের জন্য কলকাতা হাই কোর্টে আগেই আবেদন করে রেখেছিলেন অনুব্রতর আইনজীবী । হাইকোর্ট তৃণমূল নেতার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। বিগত চোদ্দো দিন ধরে আসানসোল সংশোধনাগারে থাকার সময় বীরভূম জেলার সিউড়ি কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কে বেনামে প্রায় ১৭৭টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিস পান সিবিআই আধিকারিকরা। এই বিষয়ে প্রশ্ন করতে ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এই রকম আরও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে বলে সিবিআই মনে করছে। এই সমস্ত তথ্য বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে আসানসোল আদালতে জমা দেওয়া হয়।
আদালতে তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই দাবি করে, বীরভূম কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে ২৩১টি ভুয়ো একাউন্ট পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে ২০০টি অ্যাকাউন্ট একজনের সই দিয়ে খোলা হয় বলে সিবিআইয়ের দাবি। এ ছাড়াও আদালতে বাফারিং অ্যাকাউন্টের কথাও তুলে ধরে সিবিআই। এই ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে আর্থিক লেনদেনের হদিস পেয়েছে সিবিআই। এই অ্যাকাউন্টগুলি যাদের নামে খোলা হয়েছে, তাদের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই জানতে পেরেছে, গ্রাহকরা পঞ্চায়েতে আধার কার্ড জমা দিয়েছিলেন। তাঁদের গোপন জবানবন্দি নেয়ে সিবিআই আধিকারিকরা যে তথ্য পেয়েছেন, তা আদালতে জমা দেন তাঁদের আইনজীবী। আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী দাবি করেন, আরও একটি নতুন গাড়ির হদিশ তাঁরা পেয়েছেন।
বেশ কয়েক মাস ধরে টাকা না দেওয়ার জন্য ভোলে বোম রাইস মিলের বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় সংশ্লিষ্ট দফতর। অনুব্রতর আইনজীবী আবেদন রাইস মিলের অ্যাকাউন্ট ‘ডিফ্রিজিং’ করার জন্য এবং যাবতীয় বকেয়া মেটানোর জন্য আদালতে আবেদন জানান। এ বিষয়ে আলাদা আবেদন করার নির্দেশ দেন বিচারক।