বাংলাহান্ট ডেস্কঃ জম্মু ও কাশ্মীরে (jammu kashmir) আবারও বাড়ছে সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য। এরই মাঝে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, জম্মু -কাশ্মীরে টার্গেট কিলিংয়ের জন্য ২০০ জনের তালিকা প্রস্তুত করেছে সন্ত্রাসবাদীরা। সেই তালিকায় রয়েছে তথ্যদাতা, গোয়েন্দা সংস্থা, কেন্দ্রীয় সরকার ও সেনাবাহিনীর ঘনিষ্ঠ গণমাধ্যমকর্মী, উপত্যকার বাইরের লোক এবং কাশ্মীরি পণ্ডিতদের গাড়ির নম্বর সহ তাঁদের নাম।
রিপোর্ট আরও বলছে, ২১ শে সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানের মুজাফফরাবাদে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলির মধ্যে একটি বৈঠক সম্পন্ন হয়। সেখানে অংশ নিয়েছিল জয়েশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তৈয়বা, হিজবুল মুজাহিদিন এবং আলবদর সহ বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী সংগঠন।
সূত্রের খবর, সেখানে আলোচনা করা হয় সকল তানজিমের লোকদের এক করে একটি নতুন সংগঠন গড়ে তোলা হবে। যাদের টার্গেট পয়েন্টে থাকবে শুধুমাত্র তথ্যদাতা, গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন, উপত্যকার বাইরের লোক এবং আরএসএস এবং বিজেপির লোকেরা।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, আগত সময়ে এই তানজিম উপত্যকায় টার্গেট কিলিং-র দায়িত্ব নেবে। সেই কারণে সীমান্ত এলাকায় গ্রেনেড ও পিস্তল পাঠানো হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, গত ৫ ই অক্টোবর বিক্রেতা বীরেন্দ্র পাসোয়ানের হত্যাকান্ড ভুল পরিচয়ের একটি মামলা হতে পারে।
বিষয়টা হল, জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর চিরুনি তল্লাশি সন্ত্রাসীদের রাতের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে। বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনের বড় বড় কমান্ডারদের ধারাবাহিকভাবে হত্যা করা, গ্রেফতার করা- সন্ত্রাসীদের কাছে ভয়ের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সবকিছুর মধ্যেও সীমান্ত এলাকায় সন্ত্রাসীদের করা এই টার্গেট কিলিংয়ের উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে।