বদলাবে এশিয়ার ম্যাপ? ভারতের পাশেই কি তৈরি হবে নতুন দেশ? জানলে উড়বে ঘুম

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতের (India) পাশেই জন্ম নিতে পারে নতুন এক দেশ (Country)। কয়েক মাস আগেও যা কল্পনাতীত ছিল, সেটাই এবার হয়ত নিতে চলেছে বাস্তবের রূপ। ইউনাইটেড লিগ অভ আরাকান (ইউএলএ) এবং তাদের সামরিক শাখা আরাকান আর্মির নেতৃত্বে ধীরে ধীরে স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে চলেছে মায়ানমারের এই অংশ।

ভারতের (India) পাশে কি সৃষ্টি হবে নতুন দেশ ?

মায়ানমার ইউনিয়নের রাখাইন প্রদেশ (আগের নাম আরাকান) রাজ্যের ১৮টি শহরের মধ্যে আরাকান আর্মি ১৫টি শহর নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। এমনকি এই বাহিনীর দখলে রয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে মায়ানমারের (Mayanmar) ৩০০ কিলোমিটার সীমান্তবর্তী এলাকাও। অপরদিকে, রাখাইন প্রদেশের ৩টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা এখনো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে মায়ানমার সরকার।

আরোও পড়ুন : ডার্বির আগেই বড় চমক! ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিলেন নেইমার-সুয়ারেজের বিরুদ্ধে খেলা তারকা ফুটবলার

মায়ানমারের সামরিক বাহিনীর দখলে রয়েছে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত সিত্তেভ বন্দর, মুয়ানাং শহর এবং কিউকফু বন্দর। এই তিন জায়গার মধ্যে মায়ানমার সরকার চীনের সাহায্যে কিউকফু বন্দরটি নির্মাণ করেছিল। কালাদন মাল্টি-মোডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রকল্পের অধীনে ভারত অর্থ সাহায্য করে সিত্তেভ বন্দর তৈরিতে। গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি নিজের জয় পতাকা ওড়ায় গওয়া শহরে।

New country formation beside India

মায়ানমারের পশ্চিমী সেনাবাহিনীর আঞ্চলিক কমান্ডো সদর দফতর ছিল এই গওয়া। ভৌগলিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে এশিয়ার (Asia) এই শহরের গুরুত্ব অপরিসীম। তবে ২০২৪ সালের শেষ দিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী নিজেদের আয়ত্তে আনতে সক্ষম হয় এই শহরকে। সম্পূর্ণ রাখাইন প্রদেশ দখল করে আরাকান আর্মি স্বাধীনতা ঘোষণা করলে বাংলাদেশের পর এটিই হবে পশ্চিম এশিয়ায় প্রথম সফল বিচ্ছিন্নতাবাদী সামরিক অভিযান। যার ফলে ভারতের পাশেই জন্ম নেবে নতুন একটি দেশ।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর