বাংলা হান্ট ডেস্ক : সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগেই বড় ঘোষণা কেন্দ্রের। লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election) শেষ হলেই লাগু হয়ে যাবে নয়া দণ্ডসংহিতা আইন (Criminal Law)। চলতি বছরের জুলাই থেকেই কার্যকর হবে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ও ভারতীয় সাক্ষ্য বিল। বিরোধীদের হাজার আপত্তিকে উড়িয়ে বড় পদক্ষেপ মোদী (Narendra Modi) সরকারের।
প্রসঙ্গত গত বছরই ফৌজদারী আইনের পরিবর্তে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ও ভারতীয় সাক্ষ্য বিল পাশ করিয়েছিল মোদী সরকার। যদিও তাতে বিস্তর আপত্তি জানিয়েছিল কংগ্রেস সহ বাকি বিরোধী দলগুলি। এই তিন বিলের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি গলা তুলেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছরের শেষের দিকে সংবিধানের ১২৪(ক) ধারা বদলানোর জন্য আবেদন পেশ হয় সংসদে। ইন্ডিয়ান পেনাল কোড (আইপিসি), কোড অফ ক্রিমিন্যাল প্রসিডিওর (সিআরপিসি) এবং ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট__এই তিন আইন বদলের প্রস্তাব দিয়ে লোকসভায় বিল পেশ হয়। প্রথম থেকেই বিরোধীরা এই তিন আইন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। যদিও শেষপর্যন্ত সব আপত্তি খারিজ করে সংসদীয় কমিটি তিনটি আইনেই ছাড়পত্র দেয়।
আরও পড়ুন : ১০ লক্ষ দিলেই মিলবে পূর্ণ মন্ত্রীত্ব, প্রতারণার শিকার তৃণমূল বিধায়ক, শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে
প্রথম থেকেই এই তিন বিলের বিরোধিতা করে এসেছে ‘ইন্ডিয়া’ জোট। তিনটি বিলের হিন্দি নামকরণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল জোটের শরিক দলগুলি। বিশেষ করে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো সবচেয়ে বেশি আওয়াজ তুলেছিলেন সেই সময়। এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনও।
আরও পড়ুন : ‘জমি নিয়ে থাকলে ফেরত দিন’, সন্দেশখালি কাণ্ডে অভিষেকের কড়া বার্তা, বিরোধীরা বলছে ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘এই তিন বিল ভারতের সামগ্রিক নীতির উপর শুধু প্রভাব ফেলবে, তাই নয়। ভারতের জনজীবনের উপর এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে। এই তিনটি বিল নিয়ে সব পক্ষে সঙ্গে যতবেশি সম্ভব আলোচনা করা উচিত।’ যদিও কারও কোনও বিরোধিতাই ধোপে টেকেনি। গত বছরের শেষদিকে বিল পাশও হয়ে যায় এবং চলতি বছরের জুলাই নাগাদ বিল কার্যকর করার কথাও জানিয়ে দিল মোদী সরকার। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ঘোষণাকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।