বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদিকে যখন কোভিড আতঙ্ক তৈরি করেছে গোটা দেশজুড়ে, তখনই অন্যদিকে ফাংগাল ইনফেকশন নিয়েও যথেষ্ট চিন্তিত চিকিৎসক মহল। ইতিমধ্যেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা কৃষ্ণ ছত্রাককে মহামারী আইনে বিশেষ রোগ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বেশ কিছু রাজ্য। রাজস্থান মহারাষ্ট্র প্রভৃতি এলাকায় কৃষ্ণ ছত্রাকের সংক্রমণে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা যথেষ্ট বেশি। কলকাতাতেও খোঁজ মিলেছে কৃষ্ণ ছত্রাককে আক্রান্ত রোগীর। পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই দশ জনেরও বেশি রোগে আক্রান্ত হয়েছেন এই রোগে। শুধু তাই নয়, এছাড়াও রয়েছে হোয়াইট ফাঙ্গাস, এবং ইয়োলো ফাঙ্গাসের আতঙ্ক। করোণা মুক্তির পরেই তখন আর কোন রোগীকে বিপদমুক্ত বলা যাবে না, কারণ একদিকে যেমন রয়েছে ব্ল্যাক হোয়াইট এবং ইয়োলো ফাঙ্গাস। তেমনি আবারো চিকিৎসকদের নতুন করে উদ্বিগ্ন করল আরেকটি ফাংগাল ইনফেকশন।
ফের নতুন ফাঙ্গাস সংক্রমণ, উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরাঃ
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন ফাঙ্গাস জনিত এই রোগের নাম ন্যাজাল এসপারগিলোসিস। গুজরাটের ভাদোদরায় ইতিমধ্যেই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে এসজিএস হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮ জন রোগী। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই রোগ সাধারণত বাসা বাঁধে রোগীর সাইনাসে। যদিও এটি মিউকর মাইক্রোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের থেকে অনেক কম ভয়ঙ্কর, তবে কোভিড আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে কিংবা সম্প্রতি করোনামুক্ত রোগীদের ক্ষেত্রে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি। গবেষকদের মতে সাধারণত অক্সিজেনের সাপোর্টে থাকার রোগীদের ক্ষেত্রে, এবং সম্প্রতি স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করেছেন এমন রোগীদের ক্ষেত্রে সংক্রমণের ঝুঁকি সবথেকে বেশি। চিকিৎসকরা জানান, অনেক ক্ষেত্রেই অক্সিজেন রিফিলিং করার সময় পরিশুদ্ধ জল ব্যবহার করা হয়। না, এটিও রোগের একটি বড় কারন।
চিকিৎসক শীতল মিস্ত্রির বয়ানঃ
ন্যাজাল এসপারগিলোসিস সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে চিকিৎসক শীতল মিস্ত্রি জানান, “আমরা পালমোনারি এসপারগিলোসিস সম্পর্কে শুনেছি, সাধারণত শরীরের ইমিউনিটির অভাব হলে এ ধরনের রোগের সংক্রমণ দেখা যায়। তবে সাইনাসের এসপারগিলোসিস খুবই কম দেখা যায়।” চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই রোগের ক্ষেত্রেও রোগীদের নাক বন্ধ হয়ে থাকা,সর্দি, মাথার যন্ত্রণা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা যায়। বেশি দেরি করলে এই রোগ মস্তিষ্কের ক্ষতিসাধন করতে পারে বলে অভিমত ডাক্তারদের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই গুজরাটে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২৬২ জন মানুষ। কৃষ্ণ ছত্রাকের এই আক্রমণ আতঙ্ক বাড়াচ্ছে যথেষ্ট। যদিও পশ্চিমবঙ্গের তরফে জানানো হয়েছে রাজ্যের কাছে এই রোগের যথেষ্ট ওষুধ মজুদ রয়েছে। তাই কোন সমস্যা বোধ করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।