বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আদালতের নির্দেশে নিয়োগ দুর্নীতির রহস্যভেদ করতে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে সিবিআই (CBI)। আর তাতেই উঠে এল মারাত্মক তথ্য। বাংলা জুড়ে নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Recruitment Scam) যুক্ত রয়েছে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীরাও? অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদের পর এমনই বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসছে। উঠে এসেছে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের নামও।
এসএসসি ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। যেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) গিয়েছিল রাজ্য, এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সর্বোচ্চ আদালতে এসএসসি চাকরি বাতিল মামলার (Recruitment Scam) রায়ে স্থগিতদেশ দিলেও সিবিআইকে তদন্ত পক্রিয়া জারি রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। সুপ্রিম নির্দেশেই অযোগ্য শিক্ষকদের চিহ্নিত করতে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই।
সিবিআই সূত্রে খবর, অযোগ্য় চাকরিপ্রার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মোট ৩৭ জনের নাম সামনে এসেছে। যার মধ্যে ১১ জন রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে কর্মরত শিক্ষক ও ২ জন অশিক্ষক কর্মীর নাম রয়েছে। তাহলে কী অযোগ্যগের টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ায় পেছনে হাত ছিল শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদেরও? অর্থের লেনদেনেও সরাসরি যুক্ত ছিলেন তারা? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই এবার কোমর বেঁধে নামছে CBI.
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, সোমবার থেকেই জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসা ৩৭ জনকে তলব করবেন তারা। যার মধ্যে রয়েছেন শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মীরাও। ইতিমধ্যেই SSC-র ২০১৬ সালের আড়াই হাজারের বেশি অযোগ্য চাকরি প্রাপককে চিহ্নিত করার কাজ শেষ করেছে সিবিআই। অধিকাংশরই জিজ্ঞাসাবাদও শেষ হয়েছে।
আরও পড়ুন: রেশন দুর্নীতি মামলায় বহুদিন জেলবন্দি, এবার জ্যোতিপ্ৰিয় মামলায় বিরাট নির্দেশ হাইকোর্টের
CBI- র দাবি তদন্তের নেমে গোটা রাজ্যে প্রায় ৩০-৩৫ জন নতুন এজেন্টের নাম সামনে এসেছে। যার মধ্যে ৩ থেকে ৪ জন যথেষ্ট প্রভাবশালী রয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে বাতিল হয় SSC ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে নজিরবিহীন রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এক ধাক্কায় চাকরি যায় ২৫৭৫৩ জনের। হাইকোর্টের রায়ের বিরোধীতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। সেই মামলার শুনানিতে উচ্চ আদালতের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আপাতত ১৬ জুলাই পর্যন্ত চাকরি বহাল রয়েছে সকলের। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৬ জুলাই।