বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: মাঝে আর মাত্র পাঁচটা দিন। তারপরেই শুরু হয়ে যাবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (IPL 2023) ১৬ তম সংস্করণ। তিন বছর পর আবার সম্পূর্ণ সুস্থ স্বাভাবিকভাবে আয়োজিত হচ্ছে আইপিএল। করোনার আতঙ্কের কারনে ২০২০, ২০২১ এবং ২০২২ সালে এমনটা করা সম্ভব হয়নি। প্রত্যেকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি কত বছরের ডিসেম্বরে আয়োজিত মিনি অকশনে কিছু নতুন ক্রিকেটার নিয়ে নিজেদের দলকে আরও সুন্দর করে সাজিয়েছে। এবার শুধু মাঠে নামার অপেক্ষা। তারই মধ্যে প্রত্যেকটি দলই নিজেদের জার্সিতে পরিবর্তন করেছে। কারোর ক্ষেত্রে সেই পরিবর্তন অত্যন্ত সূক্ষ্ম আবার কারোর ক্ষেত্রে আমূল। আইপিএল শুরু হওয়ার আগে দেখে নেওয়া যাক প্রত্যেকটি দলের নতুন জার্সি কেমন হলো….
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স: গত মরশুমে যে জার্সি পরে ব্যর্থ হয়েছিলেন রোহিত শর্মারা, সেই জার্সিটিকেই প্রায় অবিকল ধরে রেখেছে নীতা আম্বানির দল। স্পন্সরের নাম ও অত্যন্ত সূক্ষ্ম কিছু ডিজাইন ছাড়া আর বিশেষ কিছু পরিবর্তন ঘটেনি সেই জার্সিতে। আইপিএলের সবচেয়ে সফল দল এই মরশুমে, গত দুই মরশুমের ব্যর্থতা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কিনা তা জানতে অপেক্ষার কিছু সপ্তাহের।
চেন্নাই সুপার কিংস: আইপিএলের ইতিহাসে সেরা দলগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি চেন্নাই সুপার কিংস। সেই প্রথম সংস্করণ থেকেই তাদের জার্সির মধ্যেই সবচেয়ে কম পরিবর্তন ঘটেছে। ২০২২ সালে ধোনিরা যে জার্সি গায়ে মাঠে নেমেছিলেন সেই জার্সিটির সম্পূর্ণ অপরিবর্তিত রয়েছে ২০২৩ সালেও।
কলকাতা নাইট রাইডার্স: আইপিএলের সবচেয়ে সফল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির মধ্যে একটি কলকাতা নাইট রাইডার্সের ২০২৩ সালের যার সাথে মূল পরিবর্তন হয়েছে দুটি। জার্সির কলারের কাছে নতুন ডিজাইন এবং মূল স্পন্সরের নামের ঘটেছে পরিবর্তন। আসন্ন মরশুম শুরুর আগে চোট-আঘাতে জর্জরিত কেকেআর শিবির। এই অবস্থায় নতুন জার্সি তাদের সৌভাগ্য এনে দেয় কিনা সেদিকে নজর থাকবে সকলের।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর: বিরাট কোহলিদের জার্সির বেসিক ডিজাইনে একই রকম থাকলেও তাদের স্পন্সর এবং কো স্পন্সরের নামে পরিবর্তন ঘটেছে। তবে অনেকেই বলছেন যে এই নতুন স্পন্সরের নাম আরও বেশি করে মানিয়েছে জার্সি ডিজাইন এর সাথে। কিন্তু এই নতুন জার্সি গায়ে বিরাট কোহলিরা ১৫ বছরের খরা কাটাতে পারবেন কি? উত্তর পেতে অপেক্ষা আরো কয়েক সপ্তাহের।
গুজরাট টাইটান্স: হার্দিক পান্ডিয়ার দল গতবারের জার্সিটি প্রায় অপরিবর্তিত রেখেছেন কিন্তু সামান্য কিছু চোখে দেখে বোঝা যায় এমন পরিবর্তন আছে। আশা করা যায় জার্সির ডিজাইন এর মতন ঋদ্ধিমানদের গত মরশুমের পারফরম্যান্সও এই মরশুমে অপরিবর্তিত থাকবে।
লখনউ সুপার জায়ান্টস: আমূল পরিবর্তন ঘটে গেছে, লোকেশ রাহুলদের দলের জার্সিতে। গত বছর হালকা নীল জার্সিতে খারাপ পারফরম্যান্স করেননি তারা। কিন্তু চলতি বছরে গাঢ় নীল রঙের জার্সি গায়ে চাপিয়ে সাফল্যের খোঁজ করবে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার মালিকানাধীন দল।
দিল্লি ক্যাপিটালস: গত মরশুমে রিশভ পন্থদের জার্সিতে নীল এবং লাল রং যেন এক জায়গায় এসে মিশে যাচ্ছিল। কিন্তু চলতি মরশুমে তাদের জার্সির ডিজাইন অনেকটাই সাধারণ ও সহজ। তবে নিজেদের মূল দুই রং, লাল এবং নীল, জার্সিতে ধরে রেখেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। রিশভ পন্থের অনুপস্থিতিতে এবং সৌরভ গাঙ্গুলীর ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট রূপে উপস্থিতিতে তারা কেমন পারফরম্যান্স করেন সেদিকে সকলের নজর থাকবে।
পাঞ্জাব কিংস: চেন্নাই সুপার কিংসের মতোই পাঞ্জাব কিংসের জার্সিও গত মরশুমের মতো সম্পূর্ণ অপরিবর্তিত রয়েছে। শিখর ধাওয়ানদের ভাগ্য বদলায় কিনা সেদিকে নজর থাকবে প্রত্যেকেরই।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: গত মরশুমে যখন তারা ভালো খেলছিলেন তখন পরপর ম্যাচ জিতেছিলেন আর যখন খারাপ খেলছিলেন তখন পরপর ম্যাচ হারছিলেন। তবে এই মরশুমে প্রায় নতুন সেটআপ এবং নতুন অধিনায়ক নিয়ে মাঠে নামতে চলা এই দলটি মেয়েদের গত মরশুমের ডিজাইনটি প্রায় অপরিবর্তিত ভাবে ধরে রেখেছে। কাদের কাছে ডিজাইনটি আরো চমকালো হয়েছে এবং এখনো জার্সির স্পন্সরের নাম ঘোষণা করা বাকি।
রাজস্থান রয়্যালস: জার্সির মূল গোলাপি এবং নীল রং একই রেখে ডিজাইনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হয়েছে এবং সেই সঙ্গে স্পন্সর এবং কোস্পন্সরের নামও পরিবর্তন হয়েছে তাদের। সঞ্জু স্যামসনের নেতৃত্বাধীন এই দল সাফল্য পাবে, সেই নিয়ে আশাবাদী ক্রিকেটপ্রেমীরা।