বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রত্যেক বাবা-মার তাদের সন্তানদের বিয়ে নিয়ে অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা থাকে। প্রত্যেক বাবা-মাই সাধ্যমত তার ছেলে বা মেয়ের বিয়ে দিতে চান। কিন্তু বর্তমান অগ্নিমূল্যর বাজারে বিয়ে করা বড়ই ব্যয়বহুল কাজ। এবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের বিয়ের জন্য নেওয়া হল বড় উদ্যোগ। মাত্র ৫০০ টাকার বিনিময় এবার চার হাত এক হবে সরকারের উদ্যোগে।
সরকারের উদ্যোগেই এবার নতুন যুগলরা ৫০০ টাকার বিনিময় বিয়ে সারতে পারবেন। তারই সাথে এই পরিষেবা মিলবে দুয়ারে। একটি করে সাব রেজিস্ট্রি অফিস রয়েছে প্রতিটি জেলায় চার পাঁচটি থানা এলাকার জন্য। এতদিন বিয়ের রেজিস্ট্রির (Marriage Registration) জন্য জেলা সদরে যেতে হত। তবে এবার থেকে সাব রেজিস্ট্রি অফিসগুলিতেই হবে বিয়ে রেজিস্ট্রির কাজ। এর ফলে বিয়ের রেজিস্ট্রির জন্য এবার থেকে কাউকে জেলা সদরে যেতে হবে না।
উল্লেখ্য, এ রাজ্যে অনলাইনেই বিয়ের রেজিস্ট্রির জন্য আবেদন করা যায় ২০১৯ সালের ১ জুন থেকে। এবার থেকে সাব রেজিস্ট্রি অফিসে বিয়ের জন্য আবেদন করা যাবে। রেজিস্ট্রির জন্য এরপর নির্দিষ্টি তারিখ দেখে সেখানে পৌঁছে যাওয়া যাবে। রাজ্য সরকার মানুষের সুবিধার কথা মাথায় রেখে বিয়ের রেজিস্ট্রেশন পরিষেবা চালু করল সাব রেজিস্ট্রি অফিসেও। মোট ২৫৯টি এরকম সাব রেজিস্ট্রি অফিস রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। ১১০টি অফিসে এই সুবিধা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, চলতি মাসেই বাকি অফিসগুলোতে এই পরিষেবা শুরু হয়ে যাবে। ডিরেক্টরেট অফ রেজিস্ট্রেশন এবং স্ট্যাপ রেভিনিউ-এর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করেন এ রাজ্যের সাব রেজিস্ট্রাররা। ফলে তারা বিয়ের রেজিস্ট্রি করতে পারেন। মাত্র ৫০০ টাকার বিনিময় এবার জেলার সাব রেজিস্ট্রি অফিসে বিয়ের রেজিস্ট্রি করা যাবে। এই ৫০০ টাকার মধ্যে ১০০ টাকা খরচ হয় নোটিশ বাবদ ও বাকি ৪০০ টাকা খরচ হয় রেজিস্ট্রি ফি হিসাবে।
এছাড়াও জানা গেছে দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী মানুষদের রেজিস্ট্রি করতে অর্ধেক খরচ লাগবে। অন্যদিকে, বিয়ের ভেনিউ বা নির্দিষ্ট জায়গায় রেজিস্ট্রি করতে হলে অতিরিক্ত ৪০০ টাকা খরচ করতে হবে। দফতরের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে বিয়ের রেজিস্ট্রেশনের সংখ্যা। চলতি বছরে ১ জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত এ রাজ্যে বিয়ের রেজিস্ট্রি হয়েছে মোট ২০ হাজার ৫৬১টি। যা অন্য বছরের তুলনায় অনেকটাই বেশি। শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে এই পরিসংখ্যান আরও বেশি।