বাংলাহান্ট ডেস্ক : কলকাতা শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন মাধ্যম হল মেট্রো। উল্লেখযোগ্য ব্যাপার গোটা দেশে প্রথম মেট্রো পরিষেবা শুরু হয় আমাদের কলকাতা শহরেই। প্রথমে মাত্র কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে শুরু হয় মেট্রো চলাচল। এরপর ধীরে ধীরে সেই মেট্রো পরিষেবা অগ্রসর হয়েছে উত্তর থেকে দক্ষিণে।
কলকাতা পেরিয়ে মেট্রো রেল পা রেখেছে বৃহত্তর কলকাতায়। বর্তমানে কলকাতা মেট্রোর কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর লাইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রুট। প্রতিদিন কয়েক লক্ষ যাত্রী এই রুটে যাতায়াত করেন। অপরদিকে, কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro) শুরু করেছে ইস্ট-ওয়েস্ট পরিষেবা। এই মেট্রো পরিষেবার ফলে কলকাতার আরও কাছে চলে এসেছে টেকনোলজি নগরী সল্টলেক।
আরোও পড়ুন : হাওড়া-শিয়ালদহ লাইনে দুর্ভোগ, বাতিল একাধিক লোকাল, রুট পাল্টাল বহু ট্রেন! বিপদে পড়ার আগে দেখুন তালিকা
এই রুটের পরিষেবা আরো সম্প্রসারণের কাজ চলছে। অন্যদিকে জোকা-বিবাদীবাগ রুটের মেট্রো পরিষেবা আংশিকভাবে শুরু হয়েছে তারাতলা পর্যন্ত। কাজ সম্পন্ন হলে জোকা থেকে ধর্মতলা যাওয়া যাবে এই মেট্রো করে। আবার ২০২৫ সালের মধ্যে নিউ গড়িয়া থেকে মেট্রো করে পৌঁছে যাওয়া যাবে বিমানবন্দর।
সব মিলিয়ে কলকাতার চারপাশ ঘিরে ফেলা হচ্ছে মেট্রো জালে। তবে এখানেই থেমে থাকতে চাইছে না মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কলকাতার পার্শ্ববর্তী জেলার মানুষদের কথা মাথায় রেখে মেট্রো চাইছে আরও করিডোর তৈরি করতে। মেট্রোর পরিকল্পনা অনুযায়ী মেট্রো পরিষেবা পৌঁছে যেতে পারে উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর পর্যন্তও।
আরোও পড়ুন : টিকিট তো কাটেনই! কিন্তু দেখুন, গোটা ট্রেনটাই ভাড়া করতে কত দিতে হবে আপনাকে
আরো একটি নতুন করিডোর গড়ে উঠতে পারে নোয়াপাড়া থেকে ব্যারাকপুর পর্যন্ত। ওয়েবসাইটে কলকাতা মেট্রোর ম্যাপ অনুযায়ী মেট্রো পরিষেবা পৌঁছে যেতে পারে বারাসাত পর্যন্ত। মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে চিন্তাভাবনা রয়েছে ব্যারাকপুর ও বারুইপুর পর্যন্ত।
তবে সেসব নির্ভর করছে অনেক কিছুর উপর। জমি-অর্থ এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ। মেট্রো কর্তৃপক্ষ অবশ্য স্পষ্টভাবে কিছু জানায়নি কবে থেকে এই রুটে কাজ শুরু হতে পারে। তবে মেট্রোর এই পরিকল্পনা যদি বাস্তবায়িত হয় সেক্ষেত্রে কলকাতার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বাসিন্দাদের বহুগুণ সুবিধা হবে।