বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নতুন সংসদ ভবনের উপরে জাতীয় প্রতীক উন্মোচনের একদিন পরে আবার একটি নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। এবার বিতর্ক শুরু অশোক স্তম্ভে সিংহের মুখের অভিব্যক্তি নিয়ে।ইতিমধ্যেই সিংহ মূর্তিকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলগুলির সাথে বিজেপির রাজনৈতিক বিরোধের সূত্রপাত ঘটেছে।
বিরোধীদের বক্তব্য ছিল “এটি একটি নির্দিষ্ট ধর্মের অনুষ্ঠানের ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান।” শুধু তাই নয়, “জাতীয় প্রতীক বিকৃত” করার জন্য বিরোধী দলের সদস্য এবং কর্মীরা সরকারকে অভিযুক্ত করেছেন। তাদের অভিযোগ, অশোক স্তম্ভে “সুন্দর এবং আত্মবিশ্বাসী” সিংহদের বদলে “ভয়ঙ্কর এবং আক্রমণাত্মক ভঙ্গি” সিংহ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
৯৫০০ কেজি ব্রোঞ্জের মাধ্যমে ঔরাঙ্গাবাদ এর শিল্পী সুনীল দেওরে ও জয়পুরের শিল্পী লক্ষণ ব্যাস এই অশোক স্তম্ভটি নির্মাণ করেন। সেন্ট্রাল ভিস্তার বরাত পাওয়া টাটা প্রজেক্ট লিমিটেড সুনীলকে এই অশোক স্তম্ভটি তৈরি করার বরাত দেয়। জাতীয় প্রতীক নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কের জেরে মুখ খুলেছেন শিল্পী সুনীল। তিনি বলেছেন,”পুরনো স্থাপত্যকে যথেষ্ট পরিমাণ সম্মান জানিয়ে আমি নতুন স্থাপত্যটি নির্মাণ করেছি। নতুন স্থাপত্যটি তৈরির পূর্বে আমি এই বিষয়ে বিস্তার গবেষণা করি। আমি একজন শিল্পী। শিল্পী হিসেবে শিল্পের প্রতি যতটা পরিমাণ প্রাণ নিবেদন করা যায় আমি ততটাই করেছি।
তাই বিরোধী দলগুলো যখন মূর্তিটি নিয়ে আক্রমণ করছেন তখন আমি আঘাত পাচ্ছি। মূর্তি তৈরির সময় আমি কোনরকম অবহেলা করিনি।” মূর্তি বিতর্ক নিয়ে সুনীল জানিয়েছেন,”ছবি তোলার স্থান পরিবর্তনের জন্য স্তম্ভটির সিংহগুলিকে আক্রমণাত্মক লাগছে। মূর্তির অনেক নিচ থেকে ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে। সেখানে তাই সিংহের দাঁত দেখা যাচ্ছে এবং এর ফলে হয়তো অনেকের কাছে এটি হিংস্র মনে হচ্ছে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সেন্ট্রাল ভিসার উপরে নব নির্মিত অশোক স্তম্ভের আবরণ উন্মোচনের পর স্তম্ভটির আকার আকৃতি নিয়ে সমালোচনা শুরু করে বিরোধিরা। রাষ্ট্রীয় জনতা দল একটি টুইট করে জানায় সারনাথের মন্দিরে যে অশোক স্তম্ভটি থেকে ভারতের জাতীয় প্রতীক নির্বাচিত করা হয়েছিল সেই স্তম্ভের সিংহগুলি অনেক শান্ত। কিন্তু নবনির্মিত স্তম্ভে সিংহ গুলি হিংস্র ও আক্রমণাত্মক।
আম আদমি পার্টির তরফ থেকে রাজ্যসভার সদস্য টুইট করে জিজ্ঞাসা করেন, জাতীয় প্রতীক বদলে দেওয়ার চেষ্টা কি দেশদ্রোহিতা নয়? অন্যদিকে তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য জহর সরকার লেখেন, এটি জাতীয় প্রতীকের অবমাননা। শীঘ্রই এটি বদলে দেওয়া দরকার।যদিও বিরোধীদের সমালোচনায় কান দিতে রাজি নয় মোদি সরকার। তাদের বক্তব্য বিরোধীরা একটা বিষয় খুঁজে পেয়েছে সমালোচনার জন্য, তার বেশি কিছু নয়