বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বহুদিন ধরে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ- র (DA) দাবি জানিয়ে আসছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা (State Government Employees)। কলকাতার রাজপথে চলছে আন্দোলন। তবে লাভের লাভ কিছুই হয়নি। হাই কোর্ট পেরিয়ে সুপ্রিম করতে ঠেকেছে মামলা। তবে সেখানেও জট। ডিএ সামান্য বাড়লেও কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ওদিকে নিজেদের দাবিতে অনড় সরকারি কর্মীরা। যা নিয়ে অসন্তোষ বাড়ছে। এদিকে এরই মাঝে নয়ক নির্দেশিকা নিয়ে শোরগোল।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচন। হাতে মাত্র দশ দিন। সরকারি কর্মীদের ভোটের ডিউটিতে নিযুক্ত করা হয়। বেশ কিছু জায়গায় সরকারি কর্মীদের প্রশিক্ষণও শুরু হয়েছে গিয়েছে। তবে জানা যাচ্ছে ভোটের ডিউটি না করতে চেয়ে ইতিমধ্যেই বহু সরকারি কর্মচারী আবেদন জমা করেছেন। আর এবার সেই পরিস্থিতি সামাল দিতেই সম্প্রতি বীরভূম জেলা প্রশাসন জারি করেছে এক নির্দেশিকা।
সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, যদি কোনও সরকারি কর্মচারী শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ভোটের ডিউটি বা করতে চান, তাহলে সেই কর্মচারী নিজের অফিসের কাজেও যোগ দিতে পারবেন না। একটু খুলে বললে, যদি কোনো সরকারি কর্মী ভোটের ডিউটিতে না যান তাহলে সেই সময় তিনি নিজের অফিসে যাওয়ারও অনুমতি পাবেন না।
অর্থাৎ ভোটের ডিউটি চলাকালীন ওই সরকারি কর্মীকে নিজের ছুটি খরচা করতে হবে। সরকারি কর্মীকে নিজের জমে থাকা ছুটি খরচ করতে হবে। এক্ষেত্রে বিপদে পড়বেন সেই সমস্ত কর্মীরা যাদের কাছে আর পর্যাপ্ত ছুটি মজুত নেই। কারণ যদি পর্যাপ্ত ছুটি না থাকে তাহলে এক্ষেত্রে ওই কর্মীর বেতন কাটা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: হাওড়ায় হলুদ ট্যাক্সি থেকে উদ্ধার লক্ষ লক্ষ টাকা! ভেতরে দুই ব্যক্তি, পরিচয় সামনে আসতেই শোরগোল
বীরভূমের জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ভোটের ডিউটি থেকে অব্যাহতি চেয়ে ইতিমধ্যেই বহু আবেদন জমা পড়েছে। এক্ষেত্রে মেডিক্যাল বোর্ড ‘আনফিট’ বললে তবেই সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মীকে ছাড় দেওয়া হবে। তবে ‘আনফিট’ ওই সরকারি কর্মী ভোটগ্রহণের দিন পর্যন্ত নিয়মিত নিজের কাজে যেতে পারবেন না। শুধু তাই নয়, ভোট মেটার পর ওই ‘আনফিট’ ঘোষিত কর্মীকে ‘ফিট’ সার্টিফিকেট নিলে তবেই আগের মতো কাজে যোগ দিতে পারবেন। যা সার্ভিস বুকে লিপিবদ্ধকরণ হবে। প্রশাসনের এই নয়া ঘোষণায় রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছেন বীরভূমের সরকারি কর্মীরা।