বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা ভোটের আগেই ফের একদফায় মহার্ঘ ভাতা বেড়েছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের (Government Employees)। রিপোর্ট অনুযায়ী, সামনেই আসছে অষ্টম বেতন কমিশন। যা নিয়ে যথেষ্টই খুশি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা। তবে এরই মাঝে এবার শুরু কড়াকড়ি। সম্প্রতি এক অর্ডার জারি করেছে কেন্দ্র সরকার। যা দেখে রীতিমতো মাথায় বাজ সরকারি কর্মীদের।
কেন্দ্র তরফে নয়া অর্ডার জারি করে বলা হয়েছে, যে সমস্ত কর্মীরা দেরি করে অফিসে ঢুকছেন এবং যারা নির্ধারিত সময়ের আগেই অফিস থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে এবার কড়া হাতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনেক সময় দেখা যায় সরকারি বিভিন্ন দফতরেই কর্মীরা নির্দিষ্ট সময় না এসে যখন খুশি অফিসে ঢুকছেন। বেরিয়ে যাচ্ছেন সময়ের আগে। সরকারি কর্মীদের এই খামখেয়ালি কাজের জন্য সাধারণ মানুষকেও অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। ঠিক মতো পরিষেবা মেলে না। এই নিয়েই এবার জারি নির্দেশিকা।
এবার থেকে কর্মীদের নিজের সময় মতো অফিসের ঢোকার দিন শেষ করল কেন্দ্র। সম্প্রতি এক নির্দেশিকা জারি করে একাধিক বিষয়ে কর্মচারীদের রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, অনেকেই নিয়ম অনুযায়ী আধার সংযুক্ত বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স সিস্টেমে হাজিরা দিচ্ছেন না। এবার থেকে তাদের জন্য অন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাশাপাশি সরকারি নির্দেশকা অনুযায়ী এবার থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মোবাইল ফোন নির্ভর ফেস অথেনটিকেশন সিস্টেম ব্যবহার করতে হবে। যার মাধ্যমে কর্মীর অবস্থান সম্পর্কেও জানা যাবে। থাকবে জিও-ট্যাগিংও। নিয়মিত হাজিরা পোর্টাল থেকে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। সেই মতো ‘ফাঁকিবাজ’ কর্মচারীদের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: মহিলা পুলিশের সঙ্গে এক বিছানায়! ধরা পড়তেই ডেপুটি পুলিশ সুপারের সঙ্গে যা হল … তোলপাড় রাজ্য!
রিপোর্ট অনুযায়ী, সকাল ৯ টার মধ্যে সরকারি কর্মচারী এবং আধিকারিকদের সংশ্লিষ্ট দফতরে ঢুকে যেতে হবে। তবে ‘গ্রেস টাইম’ হিসাবে ১৫ মিনিট সময় দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, ৯ টা ১৫ মিনিটের মধ্যে সরকারি কর্মীদের নিজেদের দফতরে ঢুকতে হবে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কেন্দ্রের কর্মীরা অফিসে আসতে দেরি করলে তাদের আর্ধেক দিনের ক্যাজুয়াল লিভ (সিএল) কেটে নেওয়া হবে।
যদি কোনো সরকারি কর্মী মাসে দু’বার দেরি করে আসার পরেও যদি তৃতীয়বার একই ‘ভুল’ করেন, তখন এই নিয়ম কার্যকর হবে। তবে যদি কোনো কর্মচারী দেরি হওয়ার বৈধ কারণ দেখাতে পারেন তাহলে এক ঘণ্টা পর্যন্ত ‘ছাড়’ মিলবে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা সকল মন্ত্রকের সচিবদের কাছেই হাজিরা সংক্রান্ত নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে।
এখানেই শেষ নয়, রেজিস্টারের হাজিরার সঙ্গে কর্মীদের উপস্থিতির গরমিলের বিষয় মাথায় রেখে সরকারি কর্মীদের জন্য আধার সংযুক্ত বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স সিস্টেমে হাজিরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ ছাড়াও কোন দফতরে কোন কর্মচারী কখন আসছেন, কখন বেরোচ্ছেন এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদেরও নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে।