রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি নিয়ে মেগা প্ল্যান বানাল কেন্দ্র, স্বস্তি পাবে সাধারণ মানুষ

বাংলা হান্ট ডেস্ক : পেট্রোল-ডিজেলের মতো রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের (lpg gas cylinder) দাম ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। ২০২১ সালে বেশ কয়েকবার বেড়েছে রান্নার গ্যাসের দাম। নতুন বছরে এখন পর্যন্ত দেশীয় গ্যাসের দামের কোনো আপডেট পাওয়া যায়নি। তবে এলপিজি সিলিন্ডারে ভর্তুকি নিয়ে বড় খবর পেতে চলেছেন গ্রাহকরা। এই মুহূর্তে, নতুন বছরে, বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১০০ টাকা কমানো হয়েছে। তবে দেশীয় গ্যাসের দাম এখনো কমেনি। একইসঙ্গে, এলপিজি সিলিন্ডারের দাম হাজারে পৌঁছবে বলে প্রতিনিয়ত আলোচনা চলছে।

এলপিজি সিলিন্ডারের ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি নিয়ে এখনও পর্যন্ত সরকারের তরফে কোন মতামত পাওয়া যায় নি। কিন্তু সরকারের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন জানান দিচ্ছে, গ্রাহকরা একটি সিলিন্ডারের জন্য ১০০০ টাকা পর্যন্ত দিতে প্রস্তুত। সূত্রের খবর, এলপিজি সিলিন্ডার নিয়ে সরকারের কাছে দুটি বিকল্প রয়েছে। প্রথমত, সরকার ভর্তুকি ছাড়াই সিলিন্ডার সরবরাহ করুক। দ্বিতীয়ত, কিছু নির্বাচিত গ্রাহককে সাবসিডি দেওয়া।

ভর্তুকি দেওয়ার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এখনও কিছু স্পষ্ট করেনি। তবে এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুসারে, বার্ষিক ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের নিয়ম বজায় থাকবে এবং উজ্জ্বলা প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা ভর্তুকি সুবিধা পাবেন। এলপিজি-তে ভর্তুকি গত কয়েক মাস ধরে কিছু জায়গায় বন্ধ হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে করোনা মহামারীর সময়ে ক্রুড তেল ও গ্যাসের দাম ক্রমাগত কমার পরই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। তবে এখনও এলপিজি সিলিন্ডারে ভর্তুকি পুরোপুরি বন্ধ করেনি সরকার।

gsa

২০২১ আর্থিক বছরে ভর্তুকিতে সরকারের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩,৫৫৯ কোটি টাকা। ২০২০ অর্থবছরে এই ব্যয় ছিল ২৪,৪৬৮ কোটি টাকা। ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে শুরু হওয়া এটি একটি DBTL স্কিম। এই স্কীমে যারা সাবসিডির আওতায় ছিলেন না, তাদের এলপিজি সিলিন্ডারের সম্পূর্ণ মূল্য দিতে হত। সরকারের তরফে সাবসিডির টাকা গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রিফান্ড করে দেওয়া হত। যেহেতু এই রিফান্ড সরাসরি হয় এই কারণে এই স্কীমের নাম DBTL (Direct Benefit Transfer for LPG consumer)।

সম্পর্কিত খবর