বাংলাহান্ট ডেস্ক : সাধারণ মানুষের চিকিৎসার খরচা কমাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে এসেছিল। এই কার্ডের মাধ্যমে প্রতিটি পরিবার বাৎসরিক ৫ লক্ষ টাকা বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা পান। তবে প্রথম থেকেই অভিযোগ উঠছিল একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোম এই কার্ড নিতে অস্বীকার করছে।
বিভিন্ন সময়ে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড হোল্ডারদের ভর্তি নিচ্ছে না বেসরকারি হাসপাতালগুলি। বিষয়টা নিয়ে নড়েচড়ে বসেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি নির্দেশ দেন এই ধরনের কাজ করলে হাসপাতালের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করতে। এবার স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে নতুন উদ্যোগ নিল কলকাতা পুরসভা।
আরোও পড়ুন : এবার মাত্র দু ঘন্টায় কলকাতা থেকে ঝাড়গ্রাম! পুজোর আগে দারুণ সুখবর দিল রেল
পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর মাধ্যমে পরিষেবা দিলে মিলবে অতিরিক্ত সুবিধা। এই কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসা পরিষেবা দিলে হাসপাতালগুলি বাড়াতে পারবে বেড সংখ্যা। এমনকি মিলবে ওয়ার্ড সম্প্রসারণের অনুমতি। বেসরকারি হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ ওঠে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর মাধ্যমে তারা রোগী ভর্তি করাতে চায় না।
অধিকাংশ সময় তারা ‘বেড নেই’ বলে ফিরিয়ে দেয় রোগীদের। সেক্ষেত্রে বিল্ডিং নির্মাণে ‘অতিরিক্ত ফ্লোর এরিয়া’ চেয়ে আবেদন করা হাসপাতালগুলির কাছে কলকাতার মেয়র নতুন শর্ত বাঁধলেন। জানা গেছে, কলকাতার যেসব হাসপাতালে বেড বৃদ্ধি হয়েছে সেসব হাসপাতালে এই সুবিধা পাবেন কলকাতার বাসিন্দারাই। তাদের তথ্য যাচাই হবে আধারের মাধ্যমে।
আরোও পড়ুন : ভুলে যান আধার, এবার আসছে এই বিশেষ কার্ড! রাজ্যবাসীর জন্য বড় ভাবনা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, “যে হাসপাতাল অতিরিক্ত ফ্লোর নেবে, সেখানে স্বাস্থ্য সাথী ওয়ার্ড তৈরি করতেই হবে। বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে হবে বাংলার মানুষকে। কলকাতা পুরসভা নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে।” ফিরহাদ হাকিম জানান যাতে শহরের বেসরকারি হাসপাতালগুলি স্বাস্থ্য সাথী কার্ড গ্রহণ করে সেই জন্য নয়া নিয়ম আনা হয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, “স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে রোগী ভর্তির শর্ত মেনে নিয়েছে নিউরো সাইন্স, মেডিকা, উডল্যান্ডের মতো হাসপাতাল। তারপরেই বাড়তি ফ্লোরের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এবার থেকে শহরের বাসিন্দারা সুবিধা পাবেন এই বর্ধিত বেডের।” তবে, নয়া পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে রাজ্যবাসী যে উপকৃত হবেন তা বলাই বাহুল্য।