বাংলাহান্ট ডেস্ক : আর কিছুদিন পরেই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। পরীক্ষার আগে সরকারের তরফে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য নিত্য নতুন ফরমান জারি হচ্ছে। প্রতিদিন নিত্য নতুন ফরমানে নাজেহাল পরীক্ষক থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকারা। একদিকে ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষার সময় সাথে রাখতে পারবেন না ঘড়ি, মোবাইল–সহ অন্যান্য জিনিস, অন্যদিকে, এগিয়ে আনা হয়েছে পরীক্ষা শুরুর সময়।
আবার শিক্ষক–শিক্ষিকার সংখ্যা পর্যাপ্ত না থাকায় জেলার পরীক্ষকদের অন্য স্কুলে গিয়েও গার্ডের ভূমিকা পালন করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে ফের একবার পরীক্ষকদের জন্য জারি হল নতুন নিয়ম। জানানো হয়েছে, পরীক্ষকদের একই সাথে দেখতে হবে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার খাতা। এই খবর সামনে আসার পর শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। প্রশ্ন উঠছে, এই নিয়ম মানলে দুই পরীক্ষার সঠিক মূল্যায়ন কি সম্ভব হবে?
আরোও পড়ুন : রামমন্দির দেখতে ছুটছেন লাখ লাখ লোক! ৭ দিনে কত জন গেলেন অযোধ্যা? হিসেব দেখলে চমকে যাবেন
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে ইতিমধ্যেই এই ফরমান জারি করা হয়েছে। এই চিঠি হাতে পাওয়ার পরই বিরক্ত পরীক্ষকরা। চিঠিতে লেখা হয়েছে, ২৫ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিকের খাতা নিতে হবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। ৯ মার্চ উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম পর্বের খাতা ও ২২ মার্চ উচ্চমাধ্যমিকের শেষ পর্বের খাতা নিতে হবে। এই সুচি জানার পর রীতিমতো বিরক্ত শিক্ষক মহল। যদিও এখনো জানা যায়নি পর্ষদের এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে তারা কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন কি না। তবে একসাথে দুটি পরীক্ষার খাতার মূল্যায়ন বেশ কষ্টসাধ্য বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরোও পড়ুন : মাধ্যমিক পাশেই এবার চাকরির সুযোগ! ৬৩৯টি শূন্যপদে নিয়োগ করতে চলেছে স্টীল অথরিটি বিভাগ
আবার মনে করা হচ্ছে একসাথে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা দেখলে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে। নদিয়া জেলার করিমপুরের স্কুল শিক্ষক সুহৃতোষ বিশ্বাস বলেছেন, ‘মাধ্যমিকের খাতা দেখতে হবে প্রথম দফায় ৮ মার্চ, আর পরের দফায় সেটা ১৬ মার্চ জমা দিতে হবে। আবার উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে প্রথম পর্বের খাতা নিতে হবে ৯ মার্চ। সেই খাতা জমা দিতে হবে ১৫ মার্চ। তারপরে দ্বিতীয় দফায় খাতা নিতে হবে ২২ মার্চ। কিন্তু ৮ ও ১৫ মার্চের মধ্যে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক, দুই পরীক্ষার খাতাই একসঙ্গে দেখতে হবে।’
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়ের অবশ্য বক্তব্য, ‘আমরা শুধু মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদেরই মাধ্যমিকের খাতা দেখতে দিই।’ অপরদিকে, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যের কথায়, ‘এটা অন্য কোনওবার হয় না। এবার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা গায়ে গায়ে। দুটো পরীক্ষাই ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ করতে হবে। শিক্ষকের অভাবে মাধ্যমিক স্তরে যে শিক্ষকরা উচ্চমাধ্যমিক পড়ান শুধু তাঁদেরকেই উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা দেখতে দেওয়া হচ্ছে। এতে মূল্যায়নে প্রভাব পড়বে না।’