বাংলাহান্ট ডেস্ক : হাতে কিছুদিনের ছুটি পেলেই ভ্রমণ পিপাসু বাঙালির ডেস্টিনেশন হয়ে ওঠে দিঘা। দিঘা বলতে আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে অপরূপ সুন্দর সমুদ্রের ছবি। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর দিঘাকে নতুনভাবে সাজিয়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে। সরকার দিঘাকে গোয়ার আদলে গড়ে তুলতে চাইছে বহুদিন ধরেই।
এমন অবস্থায় দিঘার জন্য নিত্যনতুন পরিকল্পনা তৈরি করছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে দিঘায় তৈরি করা হচ্ছে জগন্নাথ দেবের বিশাল মন্দির। তবে অনেকেই হয়ত জানেন না এই দিঘায় এমন একটি জায়গা রয়েছে যেখানে গেলে আপনার মন খুশিতে ভরে উঠবে। সম্প্রীতি নগরী এমন একটি জায়গা যেখানে দুই সম্প্রদায়ের মধুর মিলন ঘটেছে।
আরোও পড়ুন : ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা, ট্রাকের ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে গেল অভিনেত্রীর গাড়ি! কেমন আছেন তিশা?
এই সম্প্রীতি নগরী গড়ে উঠেছে দিঘার পাশেই রামনগরের ঠিকরায়। জায়গাটির নামকরণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হিন্দু ও ইসলাম, এই দুই ধর্মের সহাবস্থান সম্প্রীতি নগরীতে। এই জায়গায় একই সাথে অবস্থান করে মসজিদ ও মন্দির। মন্দির ও মসজিদের এই সহবস্থান দেখেই মুখ্যমন্ত্রী এই জায়গাটির নাম দিয়েছিলেন সম্প্রীতি নগরী।
আরোও পড়ুন : কেন সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্বশুর-শ্বাশুড়ি সাথে ছবি দেন না নুসরত! এবার সামনে এল আসল কারণ
এখানে মন্দির ও মসজিদের মধ্যে রয়েছে মাত্র ১০ ফুটের দূরত্ব। দুর্গোৎসবের সময় এখানকার মন্দিরে শুরু হয় উৎসব। তেমনভাবে ঈদ, মহরমের দিনগুলিতে গমগম করে ওঠে মসজিদ। দুই উৎসব উপলক্ষেই সম্প্রীতি নগরীতে বসে মেলা। এখানে যে মন্দিরটি রয়েছে সেটি জাগরণ সংঘের ও মসজিদটি শাহজাহান মসজিদ নামে পরিচিত সম্প্রীতি নগরীতে।
তিন কোটি টাকা ব্যয় করে এই সুন্দর জায়গাটিকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। জাগরণ সংঘের পুজো এ বছর পদার্পণ করবে ৮০ বছরে। অন্যদিকে, শাহজাহান মসজিদের বয়সও ১০০ বছরের উপর। সম্প্রীতি নগরীতে দুই ধর্মের সম্প্রীতি চোখে পড়ার মতো। যারা দিঘা আসবেন তারা একবার ঘুরে যাবেন এই জায়গা থেকে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বিনোদনের ব্যবস্থাও সম্প্রীতি নগরীর অন্যতম বৈশিষ্ট্য।