আর নেই ভয়! এবার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আগেই মিলবে সতর্কতা, সফলভাবে লঞ্চ হল ISRO-র নতুন স্যাটেলাইট

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার ফের একটি বড় নজির গড়ল ISRO। মূলত, এবার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তরফে এমন একটি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হয়েছে যেটি বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটার আগেই সতর্ক করে দেবে বিজ্ঞানীদের। ১৬ অগাস্ট অর্থাৎ শুক্রবার সকাল ৯ টা বেজে ১৭ মিনিটে ওই উপগ্রহের সফল উৎক্ষেপণ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ISRO-র তরফে। আর এইভাবেই ফের নতুন ইতিহাস তৈরি করে ফেলল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

নজির গড়ল ISRO:

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে এই নতুন রকেট SSLV D3 উৎক্ষেপণ করেছে ISRO। এছাড়াও, EOS-08 মিশন হিসেবে নতুন আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট লঞ্চ করা হয়েছে। এই স্যাটেলাইট দুর্যোগ সম্পর্কে সতর্কতা প্রদান করবে। জানিয়ে রাখি যে, এটি হল স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিক্যাল অর্থাৎ SSLV-র তৃতীয় এবং শেষ উড়ান।

   

স্যাটেলাইটের বৈশিষ্ট্য: এই আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট (EOS-08) এমন একটি উপগ্রহ যা পৃথিবীকে পর্যবেক্ষণ করবে এবং যেকোনও ধরণের দুর্যোগের আগাম সতর্কতাও দেবে। যার ফলে সেই দুর্যোগ সহজেই মোকাবিলা করা যাবে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ISRO-র এই স্যাটেলাইটের ওজন প্রায় ১৭৫.৫ কেজি। এটিতে ৩ টি পেলোড রয়েছে। একটি হল ইলেক্ট্রো অপটিক্যাল ইনফ্রারেড পেলোড (EOIR), দ্বিতীয়টি হল গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম-রিফ্লেক্টোমেট্রি পেলোড (GNSS-R) এবং তৃতীয়টি হল SIC UV ডসিমিটার।

আরও পড়ুন: ৯৯ শতাংশ জন হয়েছেন ব্যর্থ! ৬ সেকেন্ডের মধ্যে ছবিতে থাকা বিড়ালটিকে খুঁজে পেলেই আপনি জিনিয়াস

আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত থেকে বন্যা পর্যন্ত সতর্কতা মিলবে: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বিগত কয়েক বছরে ISRO একের পর এক ঐতিহাসিক মিশন সম্পন্ন করেছে। যেগুলিতে মিলেছে সফলতাও । দেশের অগ্রগতির জন্য ISRO এই কাজ করেছে। সেই রেশ বজায় রেখেই এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সতর্ক করে দেওয়ার এই স্যাটেলাইট লঞ্চ করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

আরও পড়ুন: মুহূর্তের মধ্যে হবে ধ্বংস! চিনকে ফাঁকি দিয়ে হাইপারসনিক অস্ত্র বানাবে এই দেশ, জেনে নিন প্ল্যান

এদিকে, ISRO-র এই স্যাটেলাইটে থাকা ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল ইনফ্রারেড পেলোডটির মিড ওয়েভ আইআর এবং লং ওয়েভ আইআর ব্যান্ড দিন এবং রাতের ছবি তোলার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই কারণে, এই স্যাটেলাইটটি বিশেষভাবে আগুন এবং আগ্নেয়গিরি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে। এছাড়াও, এই স্যাটেলাইট সিস্টেমে সমুদ্রের পৃষ্ঠের বাতাস, মাটির আর্দ্রতা এবং বন্যা শনাক্ত করার জন্য রিমোট সেন্সিং করার ক্ষমতা রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর