বাংলা হান্ট ডেস্ক : শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে আবাস যোজনা, বাংলায় দুর্নীতির অভিযোগের শেষ নেই। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো নতুন নাম। স্কুলের গ্রুপ ডি কর্মীর হয়ে কাজ করছেন স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী। ভুয়ো তালিকায় জটেশ্বরের ওই গ্রুপ ডি কর্মীর নাম ওঠায় বিপাকে পড়েছেন সেই তৃণমূল কর্মী। ওই কর্মীর হয়ে শাসকদলের যে কর্মী কাজ করতেন, তিনি নাকি মাঝেমধ্যে স্কুলে ক্লাসও নিতেন। আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) সোনাপুর হাইস্কুলের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
অবশ্য, এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ওই স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক রঞ্জিত ঠাকুরের তরফ থেকে। প্রশ্ন শুনে বেশ কিছুটা অস্বস্তিতে পড়তেও দেখা যায় তাঁকে। আর যাঁর বিরুদ্ধে এত অভিযোগ, সেই শাসকদলের কর্মী সত্যজিৎ সোম প্রথমে কিছুই স্বীকার করতে চাননি। পরে মাসে তিন থেকে চার হাজার টাকা পাওয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি। বিতর্ক দানা বাঁধতেই বেপাত্তা ওউ গ্রুপ ডি কর্মী। ওই প্রক্সি কর্মী এখনও স্কুল ছাড়েননি।
প্রক্সি কর্মী সত্যজিৎ সোম বলেন, ‘স্কুলে এমনি আসা যাওয়া করি। স্যরদের সঙ্গে দেখা করি। কর্মী হিসাবে আমাকে কেউ আশা দেয়নি। মাঝেমধ্যে নিজের প্র্যাকটিসের জন্য ফাইভ সিক্সের ক্লাসও করাতাম।’ আলিপুরদুয়ার তৃণমূল চেয়ারম্যান মৃদুল গোস্বামী বলেন, ‘এটা আমাদের কোনও নলেজে নেই। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখব। এটা নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সঙ্গে কথা বলা দরকার।’
স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা বলেন, ‘বিষয়টি বিচারাধীন। আমি এ ব্যাপারে কিছু বলব না। আইনে যা হবে, তাই হবে। অন্যায়ভাবে চাকরি পেলে, শাস্তি তো পেতেঃ হবে।
বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল জানান, ‘এটা গোটা রাজ্য জুড়ে হচ্ছে। শিক্ষকের পাশাপাশি গ্রুপ ডিতেও ভুয়ো নিয়োগ হয়েছে। এখানে ভুয়ো চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের নামের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে।একজনের নাম প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর তো নিয়োগ ভুয়োই, কিন্তু তিনি শারীরিকভাবে অক্ষম বলে তাঁর জায়গায় শাসকদলের নেতা কাজ করছেন। অরাজকতা কোথায় পৌঁছেছে!’