নতুন জামাইকে গাধার পিঠে চাপিয়ে ঘোরানো হয় গ্রাম! কারণ শুনলে চমকে যাবেন

বাংলাহান্ট ডেস্ক: ‘তৃতীয় সুর, ষষ্ঠ সুর…গুপি চলে বহুদূর…’ গুপি গাইন বাঘা বাইনের এই দৃশ্যটি মনে আছে? গুপিকে খারাপ গান গাওয়ার ‘দোষে’ গাধার পিঠে  চাপিয়ে গ্রামছাড়া করা হয়েছিল। ঠিক একই দৃশ্য দেখা গেল মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) বীড জেলায়। এখানে গ্রামের এক জামাইকে গাধার পিঠে  চাপিয়ে ঘোরানো হল গোটা গ্রাম। সঙ্গে ছিল ব্যান্ড পার্টি এবং গোটা গ্রাম। এরপর শ্বশুর তাঁকে উপহার দিলেন সোনার আংটি ও নতুন জামাকাপড়।

না, এটি কোনও শাস্তি নয়। বরং বিগত ৮২ বছর ধরে বীড জেলার বিডা গ্রামে এই পরম্পরা চলে আসছে। এখানে হোলির পরের দিন পালন করা হয় ধুলবাড়ি। এদিন গ্রামের নতুন জামাইকে গাধার পিঠে  চাপিয়ে গোটা গ্রামে ঘোরানো হয়। তারপর তাঁর সঙ্গে হোলি খেলা হয়। গ্রামের লোকজন বেশ উৎসাহের সঙ্গেই এই রীতি পালন করেন। স্থানীয় মানুষের মতে, এই রীতির পিছনে একটি কাহিনী রয়েছে। 

donkey

বলা হয়, বহু বছর আগে এই গ্রামে থাকত ঠাকুর আনন্দ দেশমুখের পরিবার। সেই পরিবারের এক জামাই একবার হোলিতে রং খেলতে মানা করে দেন। তখন তাঁর শ্বশুর তাঁকে রং মাখতে রাজি করানোর চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর জন্য ফুল দিয়ে সজ্জিত গাধার আয়োজন করা হয়। জামাইকে তার পিঠে  চাপিয়ে জুতোর মালা পরানো হয়। এরপর গোটা গ্রামে ঘোরানো হয়। 

এরপর জামাইকে গাধার পিঠে  চাপিয়ে সকলে মন্দিরে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর আরতি করা হয়। তারপর তাঁকে নতুন জামাকাপড় ও সোনার আংটি দেওয়া হয় ও মিষ্টি খাওয়ানো হয়। সেই থেকে প্রতি বছর এই গ্রামে এমন রীতি পালন করা হয়ে আসছে। এই গ্রামে প্রায় ২০০ জন জামাই আছেন। প্রতি বছর ধুলবাড়ি উৎসবের দিন নতুন জামাই খোঁজা হয়। 

যে জামাইকেই পাওয়া যায় তাঁকে গাধার পিঠে  চাপিয়ে শোভাযাত্রা বের করা হয়। তাঁকে ঘোরানো হয় গোটা গ্রাম। যে কোনও সমাজের জামাইকেই বেছে নেওয়া হয় এদিন। এই রীতি থেকে বাঁচতে অনেক জামাই আবার এদিন গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান। কিন্তু অনেক আগে থেকেই সকলের উপর নজর রাখেন গ্রামবাসীরা। যাতে কেউ পালাতে না পারেন। পলাতক জামাইকে ঠিক খুঁজে এনে এই রীতি পালন করা হয়।

Subhraroop

সম্পর্কিত খবর