কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ অপসারণের পরে এখন কেন্দ্রীয় সরকার সেখানে নিয়মিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করছে। এর পাশাপাশি উন্নয়নের নতুন পথও প্রস্তুত করা হচ্ছে। কাশ্মীরি আপেলের বিশ্বজুড়ে চাহিদা রয়েছে, তাই সরকার এখন আপেল চাষীদের সরাসরি উপকারের পরিকল্পনা করছে। এই প্রকল্পের আওতায় ১২ লক্ষ মেট্রিক টন আপেল সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে নেওয়া হবে এবং তারপর সেগুলিকে আগে সরবরাহ করা হবে। আর এর পরিবর্তে টাকা সরাসরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে। সোমবার মুখ্য সেক্রেটারি বিভিআর সুব্রামণিয়াম কাশ্মীর বিভাগের জেলা প্রশাসকসহ একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তার সাথে বৈঠক করেছেন। সভায় কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত বিশেষ বাজার হস্তক্ষেপ মূল্য প্রকল্প (MISP) বাস্তবায়নের বিষয়েও আলোচনা হয়।
এই প্রকল্পটি কৃষকদের সরাসরি উপকৃত করবে, যার ফলে তাদের ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে এবং আপেল সরবরাহ বাড়িয়ে তুলবে। এই প্রকল্পের বিশেষ বিষয় হ’ল এই অর্থটি এখন সরাসরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে। অনুমান করা হচ্ছে যে এই প্রকল্পটি উপত্যকার কৃষকদের আয় প্রায় ২০০০কোটি বৃদ্ধি করবে। এই পরিকল্পনার শুরুতে আপেল কৃষকদের কাছ থেকে ১সেপ্টেম্বর ২০১৯ থেকে ১মার্চ ২০২০ সালের মধ্যে কেনা হবে। এই ছয় মাসের জন্য প্রায় আট হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তুত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রক ও নাফেড পরিচালিত এই প্রকল্পের আওতায় উপত্যকার কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।
আসুন আপনাদের জানিয়ে দি কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পের বৈশিষ্ট্যগুলি কী। এই প্রকল্পের পুরো প্রক্রিয়া, সরকারী সংস্থাগুলির সহযোগিতায়, NAFED এর মাধ্যমে ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ এর মধ্যে শেষ হবে। এই মৌসুমে আপেলের বিক্রি বাড়াতে কেন্দ্রের মাধ্যমে একটি নতুন স্কিম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই স্কিম অনুযায়ী, আপেল সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে নেওয়া হবে বা ম্যান্ডি থেকে নেওয়া হবে।
রাজ্য সরকার কৃষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য দেবে, যেখান থেকে আপেলের দাম তাদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়া হবে। ক্যাটাগরি অনুসারে, আপেলের দাম নির্ধারণ করবে একটি কমিটি। কোয়ালিটি কমিটি আপেলকে বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত করার জন্য কাজ করবে। এই কমিটিগুলিকে লিড করবে চিফ সেক্রেটারি। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, কৃষি মন্ত্রনালয় এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় সংস্থা একত্রে কাজ করবে।