বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোট। আসন্ন ২৬-এর এই নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই এখন ঘুঁটি সাজাতে ব্যস্ত রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের অন্দরে এখন থেকেই তুঙ্গে ব্যস্ততা। এসবের মধ্যেই বিগত কয়েকদিন ধরে তৃণমূল শিবিরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে একের পর এক বৈঠকের ধুম। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রয়েছে তৃণমূলের মেগা বৈঠক। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বান্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
কারা আসবেন মমতার (Mamata Banerjee) মেগা মিটিংয়ে?
সকলের নজর এখন সেদিকেই। বিশেষ করে মেগা বৈঠক থেকে মমতা (Mamata Banerjee) কি বার্তা দিচ্ছেন সেদিকেই তাকিয়ে দলের সমস্ত স্তরের নেতা কর্মীরা। তাই সব মিলিয়ে তৃণমূল শিবিরে এই মুহূর্তে উত্তেজনা তুঙ্গে। এখন প্রশ্ন হল কাদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক এই বৈঠকে? জানা যাচ্ছে রাজ্য তৃণমূলের তরফে জেলায় জেলায় চিঠি দিয়ে একটি বিশেষ নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, সেই চিঠিতে নিম্নোক্ত বর্গের কর্মীদের ওই বৈঠকে যোগদানের জন্য় বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
তালিকায় রয়েছেন, রাজ্য পদাধিকারী,সাংসদ ও বিধায়কগণ,জেলা পরিষদ সদস্যগণ,পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধান,পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহসভাপতি, ব্লক সভাপতি (মাদার, যুব, মহিলা, আইএনটিটিইউসি),অঞ্চল সভাপতি (মাদার),জেলা সভাপতি ও জেলা চেয়ারম্যানগণ ও জেলা শাখা সংগঠন সভাপতি (যুব, মহিলা, আইএনটিটিইউসি),কর্পোরেশন ও মিউনিসিপ্যালিটির মেয়র, ডেপুটি মেয়র ও চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলরগণ এবং শাখা সংগঠনের রাজ্য সভাপতি। রাজ্য তৃণমূলের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, এই সমস্ত পদাধিকারীরা নেত্রীর মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতে পারবেন।
আরও পড়ুন: শোভনের মামলা লড়ায় জুটল অসম্মান! রত্নার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা কল্যাণের
জানা যাচ্ছে ওই চিঠিতে জেলা সভাপতিদের বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়ে লেখা হয়েছে তারা যেন নিজেদের জেলার ডেলিগেট লিস্ট তৈরি করেন। সেখানে তাঁদের নাম, পদ, ফোন নম্বর উল্লেখ করে আগামী ২৫শে ফেব্রুয়ারির মধ্য়ে রাজ্যের সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারের কাছে পাঠিয়ে দিতে হবে। একইসাথে জানানো হয়েছে হোয়াটস অ্যাপ নম্বরও।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নির্ধারিত সময়ের কিছু আগেই সবাইকে স্টেডিয়ামে আসতে হবে। তারপরেই সবাইকে নির্ধারিত জায়গায় আসন গ্রহণ করতে হবে। এই মুহূর্তে সবাই অপেক্ষায় রয়েছেন ২০২৬ এর ভোটের আগে এই মেগা মিটিং থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো (Mamata Banerjee) কী নির্দেশ দেবেন সেদিকে। একইসাথে দলের অন্দরে রদবদল নিয়ে নতুন কোনো আপডেট আসে কিনা নজর রয়েছে সেদিকেও। সব মিলিয়ে ২৭-এর এই মিটিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে ঘাসফুল শিবিরের কাছে। আসন্ন বৈঠকে গুরুত্ব পেতে চলেছে একাধিক বিষয়। বিশেষ করে আগামী দিনে কোন ইস্যুর উপর ভিত্তি করে বিরোধীদের চাপে রাখা হবে, সংগঠন কীভাবে সাজাতে হবে। এছাড়া দলের অন্দরে থাকা দ্বন্দ্ব দূর করতে মুখ্যমন্ত্রী কী নির্দেশ দেন সেটাও দেখার বিষয়।