বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এই মুহূর্তে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে রীতিমতো জর্জরিত ভারতসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ গুলি। চীনের উহান প্রদেশের সামুদ্রিক মাছের বাজার থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস রীতিমতো নাজেহাল অবস্থা করেছে সারা দুনিয়ার চিকিৎসাবিজ্ঞানের। এরইমধ্যে একদিকে যখন করোনা ভাইরাসকে জৈব মারণাস্ত্র রূপে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছিল কিনা চীন তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। তখনই ফের একবার চীনে আরও এক নতুন ধরনের ভাইরাসের সংক্রমনের খবর মিলল।
জানা গিয়েছে, এইচ১০এন৩ নামক এক ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন চীনের জিয়াংসু প্রদেশের ঝেঞ্জিয়াং শহরের এক ব্যক্তি। ৪১ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি গত ২৩এপ্রিল জ্বর এবং অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরীক্ষার পর তার শরীরে এইচ১০এন৩ নামক ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। যদিও গবেষকরা জানিয়েছেন, এই ভাইরাসের সংক্রমণ বা এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা সাধারণত ছড়ায় পাখিদের মধ্যে। বিশেষত মুরগিদের মধ্যেই এই রোগের সংক্রামক সংক্রমণ দেখা যায়। মানুষের জন্য এটি খুব বেশি ক্ষতিকারক নয়।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন এনএইচসি জানিয়েছে, “পৃথিবীতে এর আগে মানুষের মধ্যে এইচ১০এন৩ ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা যায়নি। সাধারণত হাঁস মুরগির মধ্যে এ ধরনের রোগের সংক্রমণ হয়। পাখি থেকে মানুষের মধ্যে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম।” তবে আশঙ্কার বিষয় উঠে এসেছে প্যাথোজেন জীববিজ্ঞান বিভাগের উপপরিচালক ইয়াং ঝানকিউয়ের কথায়। তার মতে এই ধরনের ভাইরাসকে সাধারণত বার্ড-ফ্লু বলে ডাকা হয়। সম্ভবত কোন অসুস্থ মুরগির কাছাকাছি চলে আসায় শ্বাস-প্রশ্বাসের মধ্যে দিয়ে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষের ক্ষেত্রে সংক্রমণের সম্ভাবনা কম হলেও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তিনি এও জানান এইচ১০এন৩ ভাইরাস আসলে একটি সাবটাইপ, যা বার্ড ফ্লু থেকে কিছুটা আলাদা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গতবছর চীনের হুনান প্রদেশে এইচ৫এন৬ ভাইরাসের আক্রমণে বার্ড ফ্লুর প্রকোপ দেখা গিয়েছিল। এছাড়াও রয়েছে এইচ৫এন১ টাইপ। যে ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার প্রায় ৩০-৪০ শতাংশ। এই আশঙ্কায় এখনই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে চীনের তরফে জানানো হয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। কিছুদিনের মধ্যেই তাকে হাসপাতাল থেকে ছুটিও দেওয়া হবে। তবে মুরগি থেকে মানুষের শরীরে কিভাবে ছড়িয়ে পড়লে ভাইরাস তা নিয়ে আরও বেশি গবেষণা দরকার বলেও জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।