বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত রবিবার আফগানিস্তানকে হারিয়ে ভারতের সেমিফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন শেষ করে দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। তবে একথা বলাই বাহুল্য যে তাদের জন্য আরও বড় লড়াই ছিল অপেক্ষায়, বুধবার একদিকে যেমন ২০১৯ বিশ্বকাপের প্রতিশোধ নিতে মাঠে নেমেছিল উইলিয়ামসনের কালো ঘোড়ারা, তেমনি অন্যদিকে মর্গ্যান বাহিনীও ছিল একেবারে তৈরি। টসে জিতে এদিন ইংল্যান্ডকে প্রথম ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
শুরুটা অবশ্য তেমন ভালো হয়নি ইংল্যান্ডের জন্য, একদিকে যেমন মাত্র 13 রানে ওপেনার বেয়ারস্টোকে সাজঘরে ফেরান মিলনে, তেমনি অন্যদিকে 29 রানের মাথায় সোধির শিকার হন বাটলারও। আবুধাবিতে ইংল্যান্ড আজ বড় বিপদে পড়বে মনে হলেও এই অবস্থা থেকে দলের পতন রুখে দাঁড়ান মালান এবং মঈন। একদিকে যেমন মাত্র 37 বলে তিনটি চার ও দুটি ছয় দিয়ে সাজানো 51 রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন মঈন, তেমনি অন্যদিকে 30 বলে 41 রানের সুন্দর ইনিংস খেলেন মালানও। শেষ পর্যন্ত তাদের দৌলতেই 4 উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত পরিবারে 166 রানে পৌঁছায় ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের হয়ে বোল্ট, সৌদি, সোধি এবং নিশাম প্রত্যেকেই একটি করে উইকেট পান
আবুধাবির এই ধীর গতির পিচে উইলিয়ামসনদের জন্য এই রান তাড়া করা যে ছিল যথেষ্ট কঠিন কাজ এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। তার উপর আজ শুরুতেই মারমুখী গাপটিল এবং অধিনায়ক উইলিয়ামসনকে ফিরিয়ে তাদের বড় ধাক্কা দেন ওকস। মিচেলের সঙ্গে জুটি বেঁধে কনওয়ে হাল ধরেছিলেন ঠিকই কিন্তু বিধ্বংসী হয়ে ওঠার ঠিক আগেই 46 রানের মাথায় তাকে সাজঘরের পথ দেখান লিভিংস্টোন।
বুধবার কিউইদের মাথায় রানরেটের চাপও ছিল যথেষ্ট। তার ওপর নতুন ব্যাটসম্যানকে নিয়ে দ্রুত পার্টনারশিপ গড়ে তোলা মোটেই সহজ ছিল না মিচেলের পক্ষে। কিন্তু ঠিক এই সময়ে খেলার মোড় ফের একবার নিউজিল্যান্ডের দিকে ফিরিয়ে দেন জিমি নিশাম। আজ মাত্র 11 বলে 27 রানের যে ইনিংস খেলেন তিনি তা ম্যাচের উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দেয়। জয়ের জন্য শেষ দুই ওভারে নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল 20 রান। একদিকে অর্ধশত রানকারী মিচেল অপরাজিত থাকলেও অন্যদিকে সঙ্গী পাওয়াই ছিল মুশকিল। তবে এদিন আর কাজ কারও জন্য ফেলে রাখেননি মিচেল। চারটি ছয় এবং চারটি চার দিয়ে সাজানো তার 72 রানের ইনিংসের দৌলতেই আজ ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলে কিউই বাহিনী।