বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ আজ থেকে আরম্ভ হয়েছে ওডিআই বিশ্বকাপের (2023 ODI World Cup) লড়াই। প্রথম ম্যাচে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে (Narendra Modi Stadium) মুখোমুখি হয়েছে গতবারের দুই ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ড (England vs New Zealand)। টসে জিতে প্রথমে বোলিং করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই নিউজিল্যান্ড। আশা করা হয়েছিল ভরা স্টেডিয়ামে আগ্রাসী মেজাজের ইংল্যান্ড দল বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ থেকেই হিট হবে। কিন্তু প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৯ উইকেটে ম্যাচ জেতে। ১৫.৪ ওভার বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কিউয়িরা।
কিন্তু তেমনটা হয়নি। ম্যাচ যখন শুরু হয় তখন হাতেগোনা কিছু মানুষ স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন। তখন জো রুট (৭৭) ছাড়া ইংল্যান্ডের কোনও ক্রিকেটারই বেশিক্ষণ ক্রিজে সময় কাটাতে ব্যর্থ হন। ফলস্বরূপ নিজেদের জন্য নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৮৩ রানের টার্গেট তুলতে পেরেছিল ইংল্যান্ড, যা বর্তমান যুগে আর ইংল্যান্ডের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের কথা মাথায় রাখলে একেবারেই ভালো বা যথেষ্ট বলা যাবেনা।
দ্বিতীয় ইনিংসে মাঠে দর্শক উপস্থিতি বাড়ে। রান তাড়া করতে নেমে নিউজিল্যান্ড প্রথমেই একটি উইকেট হারায়। উইলি ইয়ং খাতা খোলার আগে ড্রেসিংরুমে ফেরেন অলরাউন্ডার স্যাম ক্যারানের শিকার হয়ে। কিন্তু এবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ডের রক্ষাকর্তা হয়ে এগিয়ে আসেন এক ভারতীয়। বল হাতে খুব একটা জমকালো পারফরম্যান্স না করতে পারলেও একটি উইকেট নিয়েছিলেন রাঁচিন রবীন্দ্র (Rachin Ravindra)। আর ব্যাট হাতে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ইংল্যান্ডের বোলারদের রীতিমতো ধ্বংস করে দেন তিনি। স্পিন হোক বা পেস, দুইয়ের বিরুদ্ধেই স্বচ্ছন্দ ছিলেন তিনি। ৮২ বলে নিজের শতরান সম্পূর্ণ করে তিনি অপরাজিত থাকেন ১২৩ রানে।
তার পরিবার এক সময় ভারতে থাকতো। বর্তমানে ২৩ বছর বয়সী রাঁচিনের বাবা এক সময়ে ব্যাঙ্গালোরে ক্রিকেট খেলেছেন। কিন্তু কিছু কারণবশত তাদের নিউজিল্যান্ডে পাকাপাকিভাবে বসবাস করতে হলেও ভারতের সঙ্গে কখনোই সংযোগ ছিন্ন হয়নি রাঁচিনের। নিউজিল্যান্ডের শীতের ছুটি চলাকালীন তিনি ভারতে আসতেন এবং ক্রিকেট খেলতেন যে অভিজ্ঞতা তাকে পরবর্তীতে নিউজিল্যান্ডের একজন অলরাউন্ডারে পরিণত হতে সাহায্য করেছে।
তার পাশাপাশি আজ বিধ্বংসী ব্যাটিং করেছেন নিউজিল্যান্ড ওপেনার ডেভন কনওয়ে (Devon Conway)। আইপিএলে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির (MS Dhoni) দল চেন্নাই সুপার কিংসের (CSK) হয়ে খেলেন তিনি। সেই প্রভাব জেতার খেলায় ভালই পড়েছে সেটা পুরোপুরি বোঝা গেল। ভারতের বেশিরভাগ মাঠে ব্যাটিং করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। আজ টি-টোয়েন্টির ঢঙয়ে ব্যাটিং করে ইংল্যান্ডের হাত থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়ে যান তিনি। ৮৩ বলে শতরান সম্পূর্ণ করেন এবং ১২১ বলে ১৫২ রানে অপরাজিত থাকেন।