বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিউজিল্যান্ড (New Zealand) আর আফগানিস্তানের (Afghanistan) মধ্যে রবিবার হতে চলা ম্যাচ দেখার জন্য সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। বিশেষ করে ভারতীয় সমর্থকরা এই খেলা দেখার জন্য আকুল হয়ে পড়েছে। কারণ ওই ম্যাচই ভারতের সেমি ফাইনালে যাওয়ার ভাগ্য নির্ধারণ করবে। ওই ম্যাচে আফগানিস্তান যদি নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দেয়, তাহলে টিম ইন্ডিয়ার সেমি ফাইনালের টিকিট কনফার্ম হয়ে যাবে।
অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ডের কাছেও ওই ম্যাচ ‘করো অথবা মরোর” মতোই। শেষ চারে পৌঁছানোর জন্য কিউয়িদের ওই ম্যাচ যেভাবেই হোক জিততে হবে। কিন্তু পরিসংখ্যান দেখলে এটুকুই বোঝা যায় যে, নিউজিল্যান্ডের টিম এমন চাপের খেলায় বেশীরভাগ সময়েই ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে। আর পরিসংখ্যান মতো এবারেও যদি তাই হয়, তাহলে টিম ইন্ডিয়ার খুশির ঠিকানা থাকবে না।
নিউজিল্যান্ডের টিম এখনও পর্যন্ত একবারও টি-২০ বিশ্বকাপের খেতাব অর্জন করতে পারে নি। দু’বার তাঁরা সেমিফাইনালে গিয়ে হেরে বিদায় জানিয়েছে। ২০০৭ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে কিউয়িরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে ৬ উইকেটে হেরে যায়। ২০১৬ সালে তাঁরা সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে হেরে বিদায় জানায়।
সম্প্রতি রেকর্ডের কথা বললে, ২০১৯ সালের ওয়ার্ল্ড কাপের ফাইনালে পৌঁছেছিল কিউয়িরা। কিন্তু লর্ডসের ময়দানে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হওয়া খেলা ড্র হয়, এরপর সুপার ওভারে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। যদিও, সেবার কারা বেশি বাউন্ডারি মেরেছিল, সেই নিয়েই জয়ী দলের ঘোষণা হয়।
টি-২০ আর ওয়ানডে মিলিয়ে ওভার-অল রেকর্ডের দিকে নজর দিলে নিউজিল্যান্ড এখনও পর্যন্ত নকআউট ম্যাচে মানে কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমি ফাইনালের ৪৪ ম্যাচে মাত্র ১৩টি তেই জয়ী হতে পেরেছে। প্রায় ৬৮ শতাংশ নকআউট ম্যাচে নিউজিল্যান্ড হারের মুখ দেখেছে। অন্য কোনও বড় টিমের সঙ্গে তুলনা করলে নিউজিল্যান্ডের এই রেকর্ড সবথেকে খারাপ।
তবে, সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে নজর দিলে দেখা যায় যে, নিউজিল্যান্ডের রেকর্ড আগের থেকে অনেকটাই ভালো হয়েছে। তাঁরা বিগত ৫টি নকআউটের মধ্যে ৩টি ম্যাচে জয় হাসিল করেছে। এগুলির মধ্যে ২০১৫ আর ২০১৯ সালের বিশ্বকাপও রয়েছে। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ড ভারতকে হারিয়েছিল। আবার এটাও ঠিক যে, আফগানিস্তানের সঙ্গে রবিবারের ম্যাচ নকআউট না। তবে চাপের মধ্যে নিউজিল্যান্ড টিম অনেক সময়েই ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে।