বাংলাহান্ট ডেস্ক : গানের সুরে বলাই যায়, “রাতে ফুলশয্যা হলো/ তারপর সকাল হলো/ ঘুম থেকে উঠে দেখি/ বউ পালালো জানলা দিয়ে…” কিন্তু আজকের এই ঘটনায় বউ নয়, পালিয়েছে বর। ফুলশয্যার রাতের পরের দিন এটিএম থেকে টাকা তুলতে যাওয়ার নাম করে হঠাৎই উধাও হয়ে গেলেন যুবক। অসংখ্যবার ফোন এবং খোঁজাখুঁজি করলেও সন্ধান পাওয়া যায়নি সেই যুবকের। বাধ্য হয়ে যুবকের বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে দিল কনে পক্ষ।এই ঘটনায় ডোমকল থানার (Domkal Police Station) লক্ষ্মীনারায়ণপুরে ক্যাপটেন পাড়ায় রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়।
গত ৩ আগস্ট ডোমকলের বাবুপাড়ার বাসিন্দা দিশা পালের সঙ্গে চারহাত এক হয়েছিল ক্যাপ্টেন পাড়ার প্রসেনজিৎ পালের। বাড়ির সিদ্ধান্ত মত সম্বন্ধ করেই দুজনের বিয়ে হয়েছিল । এর পরের দিন অর্থাৎ ৪ তারিখ কনে দিশার মোবাইলে একটি মেসেজ আসে। মেসেজে লেখা “আমার বরকে তুই কেড়ে নিয়েছিস। মরবি তুই।” এই মেসেজটিকে নিয়ে বেশি মাথা ঘামাননি দিশা। এরপর তিনি মেতে উঠেন বিয়ের আনন্দে। এর কিছু পর দিশার মোবাইলে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। সেই ফোনে এক মহিলা কন্ঠ দাবি করে দিশার বর তার স্বামী। দিশা এই ব্যাপারে প্রমাণ চাইলে ফোনের মহিলাটি বলেন তার কাছে ম্যারেজ সার্টিফিকেট রয়েছে। দিশা ভাবেন কেউ হয়ত মজা করার জন্য এই ধরনের “প্রাঙ্ক কল” করছেন। দিশা ব্যাপারটিকে ততটা আমল দিতে চাননি।
৫ ই আগস্ট ফুলশয্যা হলে ৬ই আগস্ট সন্ধ্যা বেলা এটিএম থেকে টাকা তুলতে যাওয়ার নাম করে বেরিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যান দিশার স্বামী প্রসেনজিত। অনেকক্ষণ দেরি হয়ে গেলেও বাড়ি ফিরছেন না দেখে বহুবার প্রসেনজিৎ কে ফোন করেন দিশা। কিন্তু কোন উত্তর পাননি। দিশার দাবি তার স্বামী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে তাকে ঠকিয়েছে। এই অভিযোগে প্রসেনজিতের বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে দেয় দিশার পরিবার।
এই ঘটনাটি ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চলের পরিবেশ তৈরী হয়েছে ডোমকল থানা এলাকায়। দুই পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছে। প্রসেনজিতের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।