বাংলাহান্ট ডেস্ক : কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তথা এনআইএ-এর (NIA) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ নিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার নদিয়ার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেন, ‘মুর্শিদাবাদে কিছু সাম্প্রদায়িক সংগঠন আছে। তারা বদমাইশি করে। আর এনআইএ ঢুকেছে এসব করার জন্যই।’
রানাঘাট ছাতিমতলা মাঠে প্রশাসনিক বৈঠকে এদিন উপস্তিত ছিলেন মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের। তাঁর কেন্দ্রের মধ্যে নদিয়ার করিমপুরও পড়ে। মুখ্যমন্ত্রীর সামনে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকায় ছোটখাটো ঘটনাতে সাম্প্রদায়িক মোড়ক দেওয়া হচ্ছে। একটা ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে।’
মমতা এদিন আরও বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক অশান্তি পাকানোর জন্য ওরা বড় কিছু পরিকল্পনা করেছে। সেটাকে রুখতে হবে। আবু তাহের স্থানীয় স্তরের পরিস্থিতি নিয়ে ভরা প্রশাসনিক বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। অপরদিকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এসব বাইরে বলতে হবে না। সারা দেশজুড়েই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। যা করতে হবে তা প্রশাসনের ভিতরে কথা বলেই করতে হবে।’
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সামনে নদিয়া ও মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের কাজকর্ম নিয়ে ক্ষোভ জানান আবু তাহের। তাঁর দাবি, এলাকায় ঢুকে অত্যাচার তো করছেই, আবার সীমান্ত লাগোয়া কৃষিজমি থেকে ফসলও কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে এলাকার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, রাজ্য পুলিসের ডিজি এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওখানে বেশ কিছু সংগঠন রয়েছে যারা এ ব্যাপারে খুব সক্রিয়। আর তাতে ধুনো দিচ্ছে এনআইএ।’ গত কয়েক মাসে একাধিক ঘটনার সূত্রে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে এনআইএ। বেশ কিছু নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে এনআইএ ধরপাকড়ও করেছে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী আবু তাহের-সহ সমস্ত জনপ্রতিনিধিকে নির্দেশ দেন, ছোট কোনও ঘটনা ঘটলেই সঙ্গে সঙ্গে সেখানে হস্তক্ষেপ করতে হবে। যাতে তা না আর বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে প্রশাসনকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভিআইপি নিরাপত্তায় থাকা লোকেরা যাতে অস্ত্র আমদানি না করতে পারে তার জন্য বাড়াতে হবে নাকা চেকিং।