বাংলাহান্ট ডেস্ক : একের পর এক দুর্নীতিতে নাম জড়াচ্ছে শাসকদলের। এই পরিস্থিতিতে ফের শিরোনামে উঠে এল খেজুরি বিস্ফোরণ কাণ্ড। খেজুরি বিস্ফোরণ কান্ডের তদন্তে এনআইএ আরো খানিকটা সক্রিয় হয়ে উঠতেই সব মিলিয়েই যেন অস্বস্তি বাড়ল শাসকদলের অন্দরে।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই আধিকারিকরা অভিযান চালান খেজুরি ছোট গরানিয়া এলাকার তৃণমূল নেতা তথা খেজুরি পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মদক্ষ শ্যামল দাসের বাড়িতে। তল্লাশি চালাতেই তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র ও বিশাল অঙ্কের নগদ টাকা। পাশাপাশি রামচকে বাটুল জানার বাড়িতেও হাজির হয়েছিলেন এনআইএ আধিকারিকরা। ঘটনা নিয়ে রাজ্যের শাসক শিবিরকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। যদিও তৃণমূল শিবিরের বক্তব্য, গোটা ঘটনাটিই রাজনৈতিক চক্রান্ত। এদিকে বৃহস্পতিবার থেকেই তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর এনআইএ আধিকারিকদের এই তল্লাশি অভিযানকে কেন্দ্র করে।
সূত্রের খবর, একটি পিস্তল ও নগদ ২ লাখ ৬৩ হাজার টাকা তল্লাশি চালানোর সময় উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও, আধার ও ভোটার কার্ডও সংগ্রহ করা হয়েছে। যদিও এনআইএ-র পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার রাতের এই অভিযান সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি কোনও স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, খেজুরি বোমা বিস্ফোরণের তদন্তের দায়িত্ব এনআইএ’র আধিকারিকদের উপরে আসার পরেই উঠে আসে সমর শঙ্কর মণ্ডল, শেখ আরিফ বিল্লা ও শহিদুল আলি খানের নাম। তারপরেই তদন্ত এগোনোর সাথে সাথে তাদেরকেও গ্রেফতার করা হয়। খেজুরি জনকা অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ও জনকা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ছিলেন সমর শঙ্কর মণ্ডল। বাকি শেখ আরিফ বিল্লা ও শহিদুল আলি খানও এলাকায় দাপুটে শাসক দলের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত।