বাংলা হান্ট ডেস্ক : এ সবুজে মোড়া নীলকণ্ঠ! তবে তা আড়াইশো বছরেরও বেশি সময় ধরে পান করছে গ্রাম্য কলিকাতা থেকে শহর কলকাতার বিষ। আক্ষরিক অর্থেই কলকাতার কিডনি, ছাঁকনি। যা ক্রমশ বিকল হওয়ার দিকে এগিয়ে চলেছে দ্রুতগতিতে। পরের পর জলাভূমি বুজিয়ে আবাসন, অবৈধ রাস্তা, ভেড়ি দখল করে নির্মাণের জেরে বর্তমানে প্রবল অস্তিত্ব সঙ্কটে।
বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, কলকাতা শহর গত কয়েক দশকে দ্রুত গতিতে ছড়িয়েছে। বেড়েছে ভিড়, যানজট, কৃত্রিম আলোর ব্যবহার। এই মুহূর্তে শহরের এক কোটিরও বেশি নাগরিক বসবাস করছেন ৯০ বর্গ কিমি এলাকার মধ্যে। আর এই বিপুল জনস্রোত ও পরিবেশের মধ্যে কঠিন ভারসাম্য রক্ষা করছে পূর্ব কলকাতা জলাভূমিই। কোনও ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ছাড়াই, প্রাকৃতিক উপায়ে কলকাতার ৮০% তরল বর্জ্য গ্রহণ করে তা পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তুলছে এই জলাভূমি।
তবে শুধু তরল বর্জ্য নিষ্কাশন ও তার পরিশুদ্ধকরণ নয়। তথ্য বলছে, শহর কলকাতার দূষিত বাতাস থেকে ৬০% কার্বন ডাই অক্সাইডও শুষে নেয় ১২,৫০০ হেক্টর বিস্তৃত পূর্ব কলকাতা জলাভূমি। এর ফলেই কলকাতাবাসীর ফুসফুসে আজও সে ভাবে অক্সিজেনের অভাব ঘটেনি।