বাংলা হান্ট ডেস্ক :হায়দরাবাদের মহিলা পশু চিকিত্সক গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ঝড় উঠেছে দোশজুড়ে। এই মুহুর্তে অভিযুক্তদের নানা ভাবে শাস্তির দাবি করেছেন ভিন্ন মহল। এই ঘটনায় কিছুটা হলেও স্তম্ভিত হয়েছে গোটা দেশ। আর এরই মধ্য়ে এবার এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন দিল্লীর নির্ভয়ার মা।
ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি জানান, ‘‘ওই মহিলা পশু চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা বর্বরোচিত। আমাদের যেমন সাত বছর ধরে লড়তে হচ্ছে, আশা করি ওর ক্ষেত্রে দ্রুত বিচার হবে। এমন ঘটনা কেন বারবার ঘটছে প্রশাসনকে তা জানাতে হবে।”
উল্লেখ্য়, গত সপ্তাহের বুধবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে স্কুটির চাকা পাংচার করে গণধর্ষণ করা হয় হায়দরাবাদের মহিলা পশু চিকিত্সককে। শুধু গণধর্ষণই নয়। শ্বাসরোধ করে খুন করে গায়ে পেট্রোল ঢেলে জ্বালিয়েও দেওয়া হয় তাঁকে। এরপর প্রমান লোপাটেরও চেষ্টা করে। যদিও তা সম্ভব হয়নি।
আর এই ঘটনায় হায়দরাবাদের বিস্তীর্ণ জায়গায় প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন সাধারণ মনাুষ। এমনকি দ্রুত ঘটনার বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও। মামলাটি ফার্স্ট ট্র্য়াকে বিচার হওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি। যদিও অভিযুক্তদের কড়া শাস্তি না হওয়া অবধি নিজেদের প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ার কথাবলেছেন সাধারণ মানুষ। এমনকি সামাজিক মাধ্যমেও সরকারের উদ্দেশ্যে দ্রুতি শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বরের সেই রাত এখনও ভারতবাসীর মনে যেন লেলিহান শিখার মতোৌ জ্বলছে। দিল্লীর একটি বাসে ৬ ব্যাক্তির হাতে গণধর্ষণের স্বীকার হয়েছিলেন বছর ২৬-এর এক প্যারামেডিক্যাল ছাত্রী। যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে পাশবিক অত্যাচার করা হয় তাঁকে।
যদিও তাঁকেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তখনও একই ভাবে দেশজুড়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল হয়েছিল। শীতের হাড় কাঁপুনি ঠান্ডাতেও প্রতিবাদ করে শাস্তির দাবি জানিয়েছিল সাধারণ মানুষ। যদিও ইতিমধ্যেই এই ঘটনার অভিযুক্ত দোষীদের সাজা দিয়েছে আদালত।