বাংলা হান্ট ডেস্ক : ক্রমশই বেড়েছে ক্ষোভের আগুন। এক একটা করে দিন এগোচ্ছে অথচ শাস্তির কোনো নাম গন্ধ নেই। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিদিন হায়দেরাবাদ গণধর্ষণ কাণ্ডে দোষীদের শাস্তির দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড় হয়েছে। তবে ৯দিন পর অবশেষে ক্ষোভর আগুন নিভর দেশবাসীর।
শুক্রবার ভোরে চার অভিযুক্ত পুলিশের হাতে এনকাউন্টার হয়েছে। আর এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে গোটা দেশের মানুষ যেন অকাল হোলি উত্সব পালন করছে। এই ভাবে চার অভিযুক্তের শাস্তি নিয়ে যথেষ্টই খুশি নির্ভয়ার মা। এদিন সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাতকারে তিনি দোষীদের শাস্তি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।
এদিন তিনি তাঁর ক্ষতে কিছুটা হলেও প্রলেপ পড়ল বলে জানান। পাশাপাশি ধর্ষিতাদের অভিযুক্তদের যে এভাবে শাস্তি দেওয়া হয়েছে তা অন্যান্য রাজ্য়ের পুলিশদের শেখা উচিত বলে মন্তব্য করেন। যদিও এখানেই থামেননি, তা বছর ধরে মেয়ের হয়ে সুবিচার পেতে অনেকবার জোর গলায় আইন ভাঙার কথা বললেও সেই চিত্কারে কান দেয়নি কেউ, এমনটাই বলেছেন নির্ভয়ার মা আশা দেবী।
এমনকি এই শাস্তির জন্য় প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির মা স্বস্তি পেয়েছে বলেও মন্তব্য করেন আশা দেবী। উল্লেখ্য, ২৮ নভেম্বর তারিখে হায়দেরাবাদের সাদেরনগরে চার মানুষরূপী পশুদের যৌন লালসার শিকার হন এক মহিলা পশু চিকিত্সক। তারপর তাঁকে খুন করে প্রমান লোপাটের জন্য পেট্রোল ঢালে জ্বালিয়েও দেওয়া হয়।
Asha Devi, Nirbhaya's mother: I have been running from pillar to post for the last 7 years. I appeal to the justice system of this country and the government, that Nirbhaya's culprits must be hanged to death, at the earliest. https://t.co/VoT5iv2caf pic.twitter.com/5ICgJUYaNz
— ANI (@ANI) December 6, 2019
তারপর দিনই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর ঘটনার জন্য ফাস্ট ট্র্য়াক আদালত তৈরির নির্দেশও দেয় সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এরপর শুক্রবার কাক ভোরে ঘটনাস্থলে ঘটনার পুনর্নিমানের জন্য নিয়ে যাওয়া হলে অভিযুক্তরা পালানোর চেষ্টা করতেই এক পুলিশ অফিসার তাঁদের এনকাউন্টার করেন।
হায়দেরাবাদ কাণ্ডের ঘটনাস্থল থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে ওই চারজনকে এনকাউন্টার করে খতম করে পুলিশ। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে জেলের মধ্যে অভিযুক্তদের মটন ও ভাত খাওয়ানো নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছিল দেশে, কিন্তু তারপরেই এহেন শাস্তি নিয়ে যথেষ্টই খুশি দেশবাসী।