বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্যের পুরসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে আজই। ১০৮টি পুরসভার মধ্যে ১০২টি এসেছে তৃণমূলের দখলে। খাতা খুলতে পারেনি বিজেপি এবং কংগ্রেস। তাহেরপুর গেছে সিপিএমের হাতে। তাহেরপুর জয়ের পর সূর্যকান্ত মিশ্রের দাবি, রাজ্যে তৃণমূল বিরোধীতার প্রধান মুখ হিসেবে উঠে আসছে সিপিএম। সেখানে বিজেপির স্থান নেই। যদিও ওয়ার্ড ভিত্তিক ফলাফল বলছে কিছুটা অন্য কথাই। ওয়ার্ডের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে বামেদের থেকেও এগিয়ে রয়েছে নির্দলরা। সিপিএম এবং বিজেপির চেয়ে অনেক বেশি ওয়ার্ডেই জয়ী নির্দল প্রার্থী।
সোমবার দুপুর ১টা অবধি পরিসংখ্যানে দেখা যায় , মোট ১০৮ টি পুরসভায়, ১০৮৫টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে তৃণমূল, এগিয়ে ৪২৫টি ওয়ার্ডে। সিপিএম পেয়েছে ২৯টি ওয়ার্ড, এগিয়ে ২১টি তে, বিজেপি জয়ী মাত্র ৪৯টিতে, এগিয়ে ১১টি ওয়ার্ডে। অন্যদিকে এক্ষেত্রে বিজেপি এবং সিপিএমকে দশগোল দিয়েছেন নির্দলরা। দুপুর ১টা অবধি দেখা যায় ৮৯টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থীরা, এগিয়ে রয়েছেন ১৫টি ওয়ার্ডে।
রাজ্যে নির্দলীদের এহেন সাফল্যের পিছনে অবশ্য পরোক্ষভাবে হলেও অনেকাংশেই হাত রয়েছে তৃণমূলের। এবারের নির্দল প্রার্থীদের অধিকাংশই তৃণমূলের জেলা স্তরের দুঁদে নেতা। পুরসভা ভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর সেখানে নাম ছিল না তাঁদের। ফলে বিক্ষুব্ধ এই নেতারা সেই ওয়ার্ড থেকেই নির্দলে লড়তে নামার সিদ্ধান্ত নেন। সেটাই হয়ে দাঁড়ায় তাঁদের তুরুপের তাস। নির্বাচনে স্থানীয় এলাকায় দলের চেয়ে গুরুত্ব পায় স্থানীয় মুখই। একই সঙ্গে এলাকার তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের একাংশের সহানুভূতিও বেশ কিছুটা এগিয়ে দেয় তাঁদের।
দলের তরফে অবশ্য পদে পদে বাধা পেয়েছেন এই স্থানীয় নেতারা। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৪৮ ঘন্টা সময় দিয়েছিলেন তাঁদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য। নাহলে দল থেকে বহিষ্কারের হুমকিও দেওয়া হয়। কিন্তু সেদিকে কান না দিয়ে লড়ার সিদ্ধান্তেই অবিচল ছিলেন অধিকাংশ নেতা। জয়ের পর এই নেতাদের আবার তৃণমূলে ফেরানো হবে কী না তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অবশ্য সরাসরি মুখ খুলতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী। এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত রাজ্য কমিটি নেবে বলেই জানান তিনি।