দেশের আর্থিক পরিস্থিতি অনেকটাই সংকটে। এই সংকটকালীন পরিস্থিতিতে বার বার শেয়ার বাজেরও ধস নামছে। যার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকেই দোষারপ করতে কেউ ছাড়ছে না। তবে দেশের মুদ্রাস্ফীতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আছে, এমনকি দেশের মুদ্রাস্ফিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালচনার কোনো জায়গা নেই বলে জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। একই সঙ্গে মোদী সরকারের প্রথম জমানা অর্থাত্ 2014 সাল থেকে দেশের মুদ্রাস্ফীতি স্থিতিশীলই রয়েছে, শুক্রবার দেশের বিভিন্ন শিল্প ও কর দফতরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলচনার পর এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
মুদ্রাস্ফীতির প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, 2009-2014 সাল অবধি মুদ্রাস্ফীতি থাকলেও এখন কিন্তু সেই সমস্যা আর নেই। বরং ইউপিএ জমানার প্রসঙ্গ তুলে তখন জিনিসপত্রের দাম বাড়ত বলে জানান এবং বর্তমানে সেই দাম পাঁচ বছর ধরে আর বাড়েনি বলেই দাবি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর।উল্লেখ্য চলতি আর্থিক বাজেটের নিরিখে দেখা গিয়েছে, জুলাই মাসে যেখানে মুদ্রাস্ফীতির হার 3.15 শতাংশ ছিল সেখানে জুন মাসে 3.18 শতাংশ ছিল। একইসঙ্গে জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তরফ থেকে স্থির করে দেওয়া 4 শতাংশ লক্ষ্যমাত্রাতেই একবছর ধরে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তবে মুদ্রাস্ফীতি কম হলেও দেশের একাধিক বাজারে মন্দা দেখা দিয়েছে যা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কেন্দ্রীয় অর্থ দফতরে। যদিও এর পিছনে বেকারত্ব ও আয়ের সংস্থানের অভাবকেই তুলে ধরা হচ্ছে। তাই দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে হলে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক নীতির বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে বদল আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে অর্থমন্ত্রক সূত্রে খবর। পাশাপাশি, দেশের আর্থিক সংকট মুক্ত করতে বিদেশি লগ্নিকরণের বেশি করে প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে কেন্দ্র। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে চাঙ্গা করতে শুক্রবার তাদের ৭০,০০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।