বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman) পরপর দুই দিনে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ২০ লক্ষ কোটি টাকার ত্রাণ প্যাকেজের বিষয়ে জনগণকে বিস্তারিত জানালেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় পরিযায়ী শ্রমিক এবং দরিদ্রদের জন্য অল্প খরচে ভাড়ায় ঘর মেলার জন্য ভাড়া আবাসন প্রকল্প আনার প্রস্তুতির কথাও জানালেন।
বছরে ৬-১৮ লক্ষ টাকা রোজগারী মানুষদের জন্য চালু হওয়া ক্রেডিট লিংক ভর্তুকি প্রকল্পের মেয়াদ ২০২০ সালের ৩১ শে মার্চ থেকে বাড়িয়ে ২০২১ এর মার্চ অবধি করা হল। এই ঘোষণার দ্বারা প্রায় ২.৫ লক্ষ মানুষের উপকার হবে।
রাস্তার হকার, ট্র্যাক, হস্তশিল্পের লোকদের জন্য প্রায় ৫০০০ কোটি টাকা ঘোষণা করা হয়। অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানিয়েছেন প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ এতে লাভবান হবেন।
২৫ লক্ষ নতুন কৃষকদের ক্রেডিট কার্ড লোনের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। প্রবাসী শ্রমিক ও শহুরে দরিদ্র – কেন্দ্রীয় সরকার করোনার ভাইরাসের সংকটে ১১ হাজার কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছে। গত দুই মাসে দরিদ্রদের জন্য ১১,০০০ কোটি টাকা এবং সমবায়, আঞ্চলিক ব্যাংকগুলি ২৯,৫০০ কোটি সাহায্য দেওয়া হয়েছে।
দরিদ্র পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য আগাম ২ মাসের রেশন দেবে সরকার। যে খাতে ৮ কোটি পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ৩৫,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। রেশন কার্ড নেই যাদের, তারা ৫ কেজি আনাজ এবং ১ কেজি শস্য পাবেন।
উপজাতি ও উপজাতি গোষ্ঠীর মানুষদের জন্য ক্যাম্পা ফান্ড ব্যবহার করে ৬০০০ কোটি টাকার কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। এই ফান্ডের মাধ্যমে উপজাতি ও উপজাতি গোষ্ঠীর মানুষেরা সরাসরি নিজেরাই অর্থ পাবেন। এছাড়াও NABARD-এর মাধ্যমে ৩০০০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত সহায়তা দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের। যাতে প্রায় তিন কোটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষক সরাসরি উপকৃত হবেন।
দ্বিতীয় প্যাকেজের অধীনে ৯ টি নরুন করে বড় ঘোষণা করা হবে। প্রায় ৩ কোটি কৃষককে ৪.২২ লক্ষ কোটি টাকা করে কৃষি ঋণ দেওয়া হয়েছে। কৃষি খাতের জন্যও ৮৬৬০০ কোটি টাকা লোন দিয়েছে সরকার।
বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী এমএসএমই সেক্টরের নগদ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সহজেই লোন, ক্রেডিট গ্যারান্টি এবং ক্যাপিটাল ইনফিউশনের বিষয়ে ৬ টি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেন। রিয়েল এস্টেটের নিবন্ধকরণ এবং সমাপ্তির জন্য সময়সীমাও বাড়িয়ে ৩০ শে নভেম্বর অবধি করে দেওয়া হয়।