বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভারত তথা গোটা বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় নাম রয়েছে মুকেশ অম্বানির (Mukesh Ambani)। রিলায়েন্স গ্রুপের মালিক প্রায় সময়ই থাকেন চর্চায়। সেই সঙ্গে তাঁর গোটা পরিবারই বিভিন্ন কারণে জায়গা করে নেয় সংবাদ শিরোনামে। সিনে জগতের প্রথম সারির তারকাদের থেকেও অনেকগুণ বেশি তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ। যে জন্য শুধু বলিউড তারকাই নয়, নিজেদের অনুষ্ঠানে হলিউড তারকাদেরও ডেকে আনতে পারেন অম্বানিরা।
রিলায়েন্স কোম্পানির অধীনে একাধিক ব্যবসা রয়েছে মুকেশের। শুধু টেলিকম বা বিপণি সংস্থা নয়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবসা বাড়াচ্ছেন তিনি। নিজের পরিশ্রমের জোরেই বাবার ব্যবসাকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে গিয়েছেন মুকেশ অম্বানি। কোটি কোটি টাকার মালিক অম্বানি পরিবারের জীবনযাত্রা সম্পর্কে জানতে আমজনতার কৌতূহল চিরকালই বড্ড বেশি।
মুম্বইয়ের অভিজাত এলাকার বুকে বিলাসবহুল বহুতল ‘অ্যান্টিলিয়া’ তাঁদের বাসস্থান। সেই বাসভবন থেকে শুরু করে অম্বানিদের বিভিন্ন ব্যবসার হাল হকিকত জানতেও আগ্রহী সকলেই। এমনিতে অম্বানি পরিবারের ঝাঁ চকচকে লাইফস্টাইল দেখে চোখ ধাঁধিয়ে গেলেও ব্যবসায় উত্থান পতন তাদেরও দেখতে হয়।
বিশেষ করে করোনার সময়ে বেশ ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল অম্বানিদের। তার প্রভাব পড়ে সংস্থার উর্দ্ধতন কর্মচারীদের বেতনেও। সূত্রের খবর মানলে, গত অর্থবর্ষে নিজের কাকার দুই ছেলেকে ২৪ কোটি টাকা পারিশ্রমিক দিয়েছিলেন মুকেশ অম্বানি। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে কোম্পানির দুই সিইও পবন কুমার কপিল এবং পিএমএস প্রসাদকে প্রায় ১২ কোটি করে পারিশ্রমিক দিয়েছিলেন তিনি।
জানলে অবাক হবেন, কোম্পানির ক্ষতির জন্য বিগত দু বছরে নাকি নিজে কোনো পারিশ্রমিক নেননি মুকেশ অম্বানি। শুধু তাই নয়, ২০০৮-০৯ অর্থবর্ষে তাঁর পারিশ্রমিক ছিল ১৫ কোটি টাকা। তারপর থেকে আর নিজের বেতন নাকি বাড়াননি তিনি। তবে স্ত্রী নীতা অম্বানির পারিশ্রমিক শুনলে চমকে যাবেন রীতিমতো।
জানা যায়, ২০২০-২১ সালের অর্থবর্ষে সিটিং পারিশ্রমিক ৮ লক্ষ টাকা এবং ১.৬৫ কোটি টাকা কমিশন পেয়েছিলেন নীতা অম্বানি। ২০২১-২২ সালের অর্থবর্ষে সেটা দাঁড়ায় যথাক্রমে ৫ লক্ষ টাকা এবং ২ কোটি টাকা। বলিউডের যেকোনো প্রথম সারির তারকাকে অনায়াসে টেক্কা দিতে পারবেন তিনি নিজের পারিশ্রমিক দিয়ে।