বাংলা হান্ট ডেস্ক: নাগরিকপঞ্জি বিল নিয়ে একাধিক জায়গায় শুরু হয়েছে তান্ডব। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে পথে নেমেছে বহু বিক্ষোভকারী। কিন্তু তারা ভুলে গিয়েছ এই দেশ ভারত বর্ষ শুধু কোন সাম্প্রদায়িক ব্যক্তির উপর দাঁড়িয়ে নেই। তারা যখনই কোন বিল পাস করে তখন তার সংবিধানকে মেনেই পাস করা হয়।
কিন্তু বিরোধীদের কিছু ভ্রান্ত কথা কে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে এমন তোলপাড় দেশজুড়ে এমনই বলছে সরকারে থাকা বিজেপির প্রধান নেতারা। তবে যে চুক্তি কে কেন্দ্র করে এক সময় ইতিহাসে সংখ্যালঘুদের ফেরানো এবং তাদেরকে গ্রহণ করার বিষয়টি নির্ভর করত তাতে ফলস্বরূপ দেখা গেছে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা ধীরে ধীরে আরও সংখ্যালঘু হয়ে পরেছে। কিন্তু ভারতে সংখ্যালঘুদের বৃদ্ধি হয়েছে এই নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বিজেপির একজন প্রধান নেতা মন্তব্য করেছেন।
বুধবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে নিতিন জানান, সরকার যে নাগরিকত্ব আইন চালু করেছে তা অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত। এর সপক্ষে তাঁর বক্তব্য, “সারা পৃথিবীতে হিন্দুদের জন্য কোনও দেশ নেই। আগে একটা মাত্র দেশ ছিল, নেপাল। কিন্তু এখন তাও নেই, একটাও নেই। তা হলে হিন্দুরা কোথায় যাবেন? শিখরা কোথায় যাবেন? মুসলমানদের জন্য তো অনেক মুসলিম দেশ রয়েছে, যেখানে মুসলমানরা সহজেই নাগরিকত্ব পাবেন। বিরোধীরা মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন।”
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বলছে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে যত অ-মুসলিম ব্যক্তি ধর্মীয় কারণে উৎপীড়িত হয়ে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ভারতে এসেছেন, তাঁরা সকলেই শরণার্থী হিসেবে এ দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। বিরোধীদের দাবি, নাগরিকত্ব পাওয়ার মাপকাঠি কখনওই ধর্ম হতে পারে না।