বাংলা হান্ট ডেস্ক : দেশের সমস্ত রাজ্যে এনআরসি চালু করা হবে অর্থাত্ এনআরসির মাধ্যমে যাদের নাগরিকত্ব নেই তাদের ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হবে। অন্যদিকে আবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পাকিস্তান আফগানিস্তান থেকে আসা সমস্ত সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই দ্বৈত ব্যবস্থা ঘিরে দেশে চরম অরাজকতা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাই এনআরসি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এর মধ্য দিয়েই ভারতকে এক প্রকার হিন্দু রাষ্ট্র পরিণত করার চেষ্টা চলছে এমনটাই দেশের অন্দরে গুঞ্জন চলছে। কিন্তু সেই গুঞ্জনের পারদ খানিকটা ছড়িয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি।
সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাতকারে মুসলিমদের জন্য একাধিক ইসলামিক রাষ্ট্র রয়েছে অথচ বিশ্বের কোথাও হিন্দুদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র নেই বলে মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী। সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল লোকসভা এবং রাজ্যসভায় পেশ করার সময় মুসলিমদের স্থান নেই কেন? এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন ওই তিন দেশে মূলত সংখ্যালঘুরা অত্যাচারিত হয়েছে, মুসলিম শরণার্থীরা কখনওই সেই দেশগুলিতে নিপীড়িত হন না।
খানিকটা সেই পথে হেঁটে বুধবার এক সাক্ষাত্কারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি তাই হিন্দু এবং শিখ কোথায় যাবে এই বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন? উল্লেখ্য রাজ্যসভা এবং লোকসভায় বিল পাশ করার আগে টানা কয়েক ঘণ্টা ধরে বিরোধীদের এই বিল নিয়ে নানা রকম প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে।
কোনও ভাবেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিজেদের রাজ্যে প্রণয়ন হতে দেবে না তাই প্রতিবাদে সরব হয়েছে অসম ত্রিপুরা মেঘালয় দিল্লি এবং পশ্চিমবঙ্গ সহ আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যে। ভিন্ন রাজ্যে শুধুমাত্র প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলছে প্রায় এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে।