বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা (corona) আক্রান্ত সমস্ত রোগীকে রাখা হবে কোয়ারেন্টাইনে (quarantine)। এবং আক্রান্তের সংস্পর্শে এলে কোনও ব্যক্তিকে রাখা হচ্ছে লক্ষ্য, ১৪ দিন বন্দি থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ সুস্থ এবং করোনা থেকে দূরে রাখা। গোটা হাসপাতালে থুতু ছিটিয়ে বেড়ালেন কোয়ারেন্টাইনে থাকা রোগীরা, বাড়ছে সংক্রমণের আশঙ্কা। কিন্তু সেখানেও শান্তি নেই। কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষগুলিই জীবাণু ছড়ানোর একপ্রকার দায়িত্ব নিয়ে ফেলেছেন। অসমের গোলাঘাট (Asamēra gōlāghāṭa) জেলার এক হাসপাতাল অন্তত সেই দৃশ্যেরই সাক্ষী রইল।
দিল্লির (delhi) নিজামুদ্দিন সেখান থেকে আসা আট করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছিলেন ৪২ জন। সেই কারণেই গোলাঘাটের একটি হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে তাঁদের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, শুক্রবার তাঁদের অনেকেই গোটা হাসপাতালে থুতু ফেলে বেড়ান। শুধু জানলা দিয়ে বাইরেই নয়, কোয়ারেন্টাইন ওয়ার্ডের মেঝেতেও থুতু ফেলেন তাঁরা বলে অভিযোগ। এমনকী, স্বাস্থ্যকর্মীদের গায়েও থুতু ছিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা। হাসপাতাল কর্মীরা জানাচ্ছেন, দায়িত্বজ্ঞাহীন ওই ব্যক্তিদের কাণ্ডকারখানা থামাতে বিল্ডিংয়ের বাইরের পাইপ পেয়ে উঠে কোয়ারেন্টাইন ওয়ার্ডের জানলা বন্ধ করতে হয় তাঁদের। সবচেয়ে লজ্জার বিষয় হল, গোটা ঘটনাটি ঘটে অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বর সামনে। গতকাল হাসপাতাল (hospital) পরিদর্শনে এসেছিলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “যাঁদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে, তাঁদের অনেকেই মনে করছেন তাঁরা একেবারে সুস্থ আছেন। আমরা জোর করে তাঁদের এখানে রেখে দিয়েছি। সেই জন্যই সর্বত্র থুতু ফেলে বেড়াচ্ছে। পরিবারেরই উচিত ফোনে তাঁদের বিষয়টা বোঝানো। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে এসব করা যে ঠিক নয়, তাঁদের বুঝতে হবে। যত্রতত্র থুতু ফেললে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়বে। ওঁরা যেভাবে জানলার বাইরে থুতু ফেলেছেন, তাতে আমি দুঃখিত। ওঁদেরও যেমন বুঝতে হবে, সমাজকেও ওঁদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করতে হবে।”
সব ‘দায়’ সংবাদ মাধ্যমের! RG Kar কান্ড নিয়ে বিস্ফোরক ফিরহাদ, বললেন…