বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam Case) তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা খারিজের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে ইডির (Enforcement Directorate) তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত সোমবার পর্যন্ত অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।
আগামী সোমবার পর্যন্ত তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে না বলে এদিন কলকাতা হাইকোর্টে (High Court) জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেককে গত বৃহস্পতিবার চার দিনের রক্ষাকবচ দেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। এরপর গতকালের মামলাটি বিচারপতি ঘোষের বেঞ্চে উঠলে তার বিরোধিতা করে ইডি।
ইডির আইনজীবী এসভি রাজু বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট এই মামলাটি এই বেঞ্চ শুনতে পারে না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এজলাস পরিবর্তন হয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে গিয়েছে। সেখানে তদন্ত চালিয়ে যেতেও বলা হয়েছে। তাই এই মামলাটি বিচারপতি সিনহার বেঞ্চেই যাওয়া উচিত।”
পাল্টা অভিষেকের আইনজীবী এর বিরোধীতা করেন। পাশাপাশি অভিষেককে আমেরিকায় চিকিৎসার জন্য যেতে হবে। তাই তিনি হলফনামা জমা দিয়েছিলেন। একথাও বলেন অভিষেকের আইনজীবী মনু সিঙ্ঘভি। এরপর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী বলেন, জুলাই চিকিৎসার জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমেরিকা যাওয়ার কথা রয়েছে। তিনি ২০ আগস্ট ফিরবেন। এরপরই, মামলা প্রধান বিচারপতির কাছে ফেরত পাঠান বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
তবে মঙ্গলবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম জানিয়ে দিয়েছেন, মামলার শুনানি বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসেই হবে। এদিন সেখানেই ইডি তাদের অবস্থানের কথা জানিয়েছে। উল্লেখ্য, বুধবার ২৬ জুলাই বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে ইডির কাছে চিঠি দেন অভিষেক ও তার স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইডির অনুমতি না মেলায় সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন দম্পতি। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ে ইডি। শীর্ষ আদালতে ওই মামলার ফের শুনানি হবে ২৮ জুলাই। মনে করা হচ্ছে সেই কারণেই সুপ্রিম কোর্টেও সময় নিল গোয়েন্দা সংস্থা ইডি।