অবশেষে সামনে এলো ইরানের মিসাইল নিক্ষেপের সত্যতা

বাংলাহান্ট ডেস্ক:  ইরান আর আমেরিকার যে এখন আদায় কাচকলায় সম্পর্ক সেটা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখেনা।  কিন্তু ইরান আর আমেরিকার যে পূর্ব যুদ্ধ পরিস্থিতি সেই কথাও নিজের মুখে শিকার করেছিলেন মার্কিন সচিব মার্ক এসপার।তিনি এও জানান যে কোন মুহূর্তে যুদ্ধ লাগলেই সেই প্রস্তুতি নিতেও তারা রাজি।

আবার সোলেমানির হত্যার ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ বাড়াবে বলে মনে করছেন অনেকেই।কিন্তু বুধবার ইরাকে মার্কিন দের বেস ক্যাম্পে ইরানীদের এই মিসাইল ছোরার ঘটনাটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না ইরান। আর তার পাশাপাশি ইরানে মৃত প্রায় ৮০ জন আমেরিকান এই ঘটনাটাও সম্পূর্ণ ভাবে যে মিথ্যে সেটাও তারা প্রমান করে। এমনকি এই বিষয় নিয়ে সরাসরি মুখ খুলেছেন ডোনালদ ট্রাম্প । তিনি একথা জানান যে এই মিসাইলের আঘাতে ক্যাম্পের ক্ষতি হলেও তেমনভাবে সেনাদের ক্ষতি হয়নি। এমনকি মৃত্যুর বিষয়টাও সম্পূর্ণ ভাবে মিথ্যে কথা বলে তিনি জানিয়েছেন ।

800

 

 

 

এমনকি ইরাকি সেনারাও জানিয়েছেন তাদেরও সেইভাবে কোনও ক্ষতি হয়নি। এমনকি সূত্রের খবর অনুযায়ী জানানো হয়েছে যে এই মিসাইল বুধবার ভোররাতে নিক্ষেপ করা হয়। ২২ টি মিসাইল ছোঁড়ার পর তার মধ্যে ১৭ টি আল আসাদ এয়ারবেসের দিকে নিক্ষেপ করা হয়। এমনকি সেই থেকে কারও ক্ষতি হলেও মারার যাওয়ার মতো কোনও ঘটনা নেই বা পাওয়া যায়নি । এখন দুই দেশের মধ্যে এই নিয়ে বেশ চাপানউতর শুরু হয়েছে।

এখানেই শেষ নয় মিসাইল ছোড়া এই বিষয়কে কেন্দ্র করে অনেকের মতেই এটা হয়ত কোনভাবেই একটা হুমকি বা ভ্রান্ত তথ্য । কিন্তু এসবের  পরেও যেই বিষয় সেটি হল দুই দেশের মধ্যে ক্রমেই বেড়ে চলা শত্রুতা  এবং ব্যাপক যুদ্ধের পূর্ব আবহাওয়া। এখন সব কিছু ধামাচাপা পরে গেলেও শেষরক্ষা হবে কিনা সেটাই দেখার।

সম্পর্কিত খবর