বাংলাহান্ট ডেস্কঃ 2 মার্চ কলকাতায় (Kolkata) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এক সভার আয়োজন করেছেন, যেখানে তৃণমূলের (TMC) বিভিন্ন গণ্যমান্য নেতারা উপস্থিত থাকবেন। কিন্তু এই সভায় নিমন্ত্রণ থেকে বাদ পড়েছেন তৃণমূলের বহু গণ্যমান্য মন্ত্রীরা। বারকোড না মেলায় শুরু হয় অন্তর্দন্ধ।
লোকসভা নির্বাচনে হারের পর ২০১৯ সালে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচন কৌশলী হিসেবে নিযুক্ত হন প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। গত বৃহস্পতিবার মালদার (Malda) ইংরেজবাজার শহরের একটি স্কুলে তৃণমূলের তরফ থেকে একটি বিশেষ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই বৈঠকে নিমন্ত্রিত নেতাদের নাম এবং পদের উল্লেখ করে তালিকাভুক্ত করা ছিল। তবে সেখানে প্রশান্ত কিশোরের টিমের পক্ষ থেকে বারকোডের ব্যবস্থা থাকলেও, বাদ পড়ছেন মালদহের তৃণমূলের বিভিন্ন নেতারা। কিন্তু এদিকে এই সভায় উপস্থিত হওয়ার জন্য বারকোড মেলেনি রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায় (Khageswara Roy) এবং ময়নাগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারীর (ANANTA DEB ADHIKARI )। এই নিয়েই শুরু হয় জল্পনা কল্পনা।
জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যানী তৃণমূলের এই দুই নেতার সঙ্গে কথা না বলে তাঁদের নাম পাঠায়নি বলে অভিযোগ ওঠে। বারকোড না মেলার প্রসঙ্গে খগেশ্বর রায় বলেন, “মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস আমাকে ফোন করেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, ৩ মার্চ জলপাইগুড়ি এসে তিনি আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন। তারপর আমার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভেবে দেখব।” এই মন্তব্যে এই দুই মন্ত্রীর পদত্যাগের ইঙ্গিত পাচ্ছেন অনেকে।
নিমন্ত্রণের তালিকা থেকে বাদ গেল নিজের দলেরই বেশ কয়েকজন গণ্যমান্য নেতা। শুরু হয়ে গেল দলের মধ্যেই অন্তর্দন্ধ। তৃণমূল (TMC) নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে (Netaji Indoor Stadium) ডাকা বৈঠকে বাদ পড়েছেন মালদহ (Maldah) জেলা তৃণমূলের বেশ কয়েকজন কর্মতর নেতা। তবে এখন এই বিষয়ে অনেকই কোন মন্তব্য করেননি।