বাংলাহান্ট ডেস্ক : পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhatterjee) বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিলেন। সেই বিষয়ে মুখ খুললেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, ‘পালিয়ে কেউ বাঁচতে পারবেন না’। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে ‘মিসিং’ হয়ে গিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য।
ইতিমধ্যেই মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করেছে ইডি। এই দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেন,’ আরও অনেকেই মিসিং হবেন। আরও অনেকেই গায়েব হয়ে যাবেন। সিবিআই-ইডি যত হাত বাড়াবে, তত পাড়ায় পাড়ায় গায়েব বাড়বে। তবে যে যেখানেই পালিয়ে যান না কেন ছাড় পাবেন না কেউ’।
কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একাংশের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর এদিন সেই দিলীপ ঘোষের মুখেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপর আশার আলো দেখা গেল। প্রসঙ্গত, এসএসসি দুর্নীতির মতোই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগেও একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। যেগুলির তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেখানেও বিপুল অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছে। সেই কারণেই মানিকের বাড়িতে ইতিমধ্যেই তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। সেখান থেকে কিছু নথি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। মানিক ভট্টাচার্যের বাড়িতে এ বার জারি হল লুক-আউট নোটিশ।
সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতির পদ থেকে মানিককে সরিয়ে দেওয়া হয়। তার পরিবর্তে নতুন দায়িত্ব নিয়ে আসেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গৌতম পাল। তার পরেই মানিককে নতুন করে লুকআউট নোটিশ দেওয়া হয়।এর আগে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিক বার ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের জিজ্ঞাসাবাদের সামনে পড়তে হয় মানিককে।
জানা যাচ্ছে, গত ২৮ জুলাই প্রায় ১৪ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মানিককে। প্রায় মধ্যরাতে তিনি বেরিয়ে আসেন জিজ্ঞাসাবাদের পর। প্রসঙ্গত, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি হওয়ার সঙ্গে মানিকবাবু তৃণমূলের পলাশিপাড়ার বিধায়ক। সংসদের সভাপতির পদ থেকে সরালেও আপাতত তিনি বিধায়ক পদেই রয়েছেন। তবে দুর্নীতির সঙ্গে যাদেরই নাম জড়িয়েছে তা সে মানিক ভট্টাচার্য হোক বা অন্য কেউ তাঁরা যে পার পাবেন না। এমনই মত দিলীপ ঘোষের।