বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২২, ২৩ ও ২৪ মে—টানা ৭২ ঘণ্টা ধরে কলকাতা ও আশপাশের রাস্তায় বেসরকারি বাস (Bus Strike) পরিষেবা বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছিল বাস মালিক সংগঠনের তরফে। একাধিক দাবি ও একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল পাঁচটি বেসরকারি বাস সংগঠন। তবে আপাতত সেই ধর্মঘট হচ্ছে না। বৈঠকে সুরাহা হয়েছে। ফলে ভোগান্তি থেকে বাঁচলেন নিত্যযাত্রীরা।
বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার | Bus Strike
এদিন বাস মালিক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কলকাতার সিপি ও পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী। প্রায় দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বৈঠক চলার পর ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত থেকে আপাতত সরে আসে বেসরকারি বাস সংগঠন। বৈঠকে আশ্বস্ত বাস মালিক সংগঠন। আপাতত পয়লা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় সীমা দেওয়া হয়েছে সরকারকে।
বেশ কিছু দাবিদাওয়া নিয়ে ধর্মঘটের কথা জানিয়েছিল বেসরকারি বাস সংগঠন। তাদের বক্তব্য, ১৫ বছরের পুরনো বাস বাতিলের যে সিদ্ধান্ত তা প্রত্যাহার করতে হবে। কারণ করোনাকালে দু’বছর বাস চলাচল হয়নি। সেই সঙ্গেই পুলিশি হয়রানি, ইচ্ছা মতো টোল ট্যাক্স আদায় করা, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি সহ মোট পাঁচ দফা দাবি রয়েছে তাদের।
ভিডিও দেখুন: https://www.youtube.com/live/a2Id6a-3-c4?si=yKUjPwYfl5OX3D_I
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে এই দাবিগুলি তুলে সরব হয়েছেন বাস মালিকরা। বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট, জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট (পশ্চিমবঙ্গ), ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, ইন্টার অ্যান্ড ইন্ট্রা রিজিয়ন বাস অ্যাসোসিয়েশন ও মিনিবাস অপারেটর্স কো-অর্ডিনেশন কমিটি এই ধর্মঘটে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে আপাতত সরকারের আশ্বাসে তা প্রত্যাহার করা হল।
আরও পড়ুন: ‘যোগ্য-অযোগ্য বাছতে হবে না, একজনই অযোগ্য তিনি হলেন…’! নিয়োগ দুর্নীতিতে বোমা ফাটালেন শুভেন্দু
এই বিষয়ে বাস মালিক সংগঠনের এক প্রতিনিধি বলেন, “আমরা বেশ কিছু পয়েন্ট তুলে ধরেছিলাম। পুলিশি অত্যাচার, দুই, কোভিড পিরিয়ডে গাড়ি চলেনি, আমরা ক্ষতিতে ছিলাম। টোল ট্যাক্স আদায়ের পরিমাণ কমাতে হবে। এগুলো তুলে ধরা হয়েছিল। পুলিশ কমিশনার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। আপাতত ধর্মঘট প্রত্যাহার। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করছি।”