বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত দু’দিন ধরে লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে চর্চা চলছে। আর এই দিন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে লোকসভায় জবাব দেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) আজ বিকেল ৪টায় সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব ও মণিপুর নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নের উত্তর দেন। বর্ষাকালীন অধিবেশনে সংসদের নিম্নকক্ষ ৮ এবং ৯ আগস্ট বিরোধীদের কাছ থেকে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক করেছিল।
এই চর্চায় বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা সরকারকে নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলেন, সেখানে সরকারের পক্ষে সাংসদরা জবাব দেন। যার পর আজ উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিকেল ৪টায় লোকসভায় এই বিষয়ে উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। প্রধানমন্ত্রীর জবাব দেওয়ার পর লোকসভায় বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব মুখ থুবড়ে পড়ে। বিস্তারিত আসছে…
No Confidence Motion defeated in the Lok Sabha. pic.twitter.com/FGV47noZQX
— ANI (@ANI) August 10, 2023
লোকসভায় কণ্ঠভোটে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব পরাজিত হয়েছে। গত ৯ বছরে এটি ছিল দ্বিতীয় ঘটনা, যখন মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব পড়ে গেল। এর আগে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধীরা মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে। এই অনাস্থা প্রস্তাবের সমর্থনে মাত্র ১২৬টি ভোট দেওয়া হয়েছিল, আর ৩২৫ জন সাংসদ সদস্য এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন।
এবারও অনাস্থা প্রস্তাবের ভাগ্য আগে ভাগেই নির্ধারণ করা হয়েছিল, কারণ সাংসদের সংখ্যা স্পষ্টতই ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষে ছিল। লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে পাঁচটি এখনও খালি রয়েছে। এর মধ্যে ৩৩০টিরও বেশি সাংসদ বিজেপি নেতৃত্বাধীন NDA-র। একইসঙ্গে ‘I.N.D.I.A’ জোটের কংগ্রেস ও তার সহযোগী দলগুলোর সদস্য সংখ্যা ১৪০-এর বেশি। এছাড়া ৬০ জন সাংসদ কোনও জোটেরই অংশ নয়।
ওদিকে, অধীর রঞ্জন চৌধুরীর বক্তব্যে আপত্তি জানিয়েছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। তিনি বিষয়টি বিশেষাধিকার কমিটির কাছে পাঠানোর প্রস্তাব করেন। এরপর কংগ্রেস সাংসদকে সংসদ থেকে সাসপেন্ড করারও প্রস্তাব করেন তিনি। তিনি বলেন, কমিটির রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত অধীর রঞ্জনকে সাময়িক বরখাস্ত করতে হবে। এরপর প্রহ্লাদ জোশির প্রস্তাব গ্রহণ হয় এবং অধীরবাবুকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।