বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একজন তৃণমূল (Trinamool Congress) সুপ্রিমো, অন্যজন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এখানে কথা হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। সম্পর্কে তাঁরা পিসি-ভাইপো। তবে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বহুবার তাঁদের মধ্যে ‘বিরোধে’র জল্পনা মাথাচাড়া দিয়েছে। সত্যিই কি মমতা-অভিষেকের মধ্যে ‘দূরত্ব’ বেড়েছে? সময়ে-অসময়ে একাধিকবার দেখা দিয়েছে এই প্রশ্ন। এবার এই নিয়েই মুখ খুললেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড।
মমতার সঙ্গে ‘বিরোধ’ নিয়ে কী বললেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)?
সম্প্রতি দক্ষিণ কলকাতায় ছেয়ে গিয়েছিল ‘অধিনায়ক অভিষেক’ লেখা হলুদ পতাকা। বিতর্ক বাঁধতেই রাতারাতি সেই পতাকার পাশে তৃণমূল নেত্রীর ছবি সম্বলিত হোর্ডিং ঝোলানো হয়। লেখা, ‘সর্বাধিনায়িকা জয় হে’। এটি সাম্প্রতিক ঘটনা। এর আগেও একাধিকবার মমতা-অভিষেকের ‘বিরোধ’ নিয়ে চর্চা হয়েছে। এমনকি তৃণমূলের অন্দরেও এই গুঞ্জন গুনগুন করছে বলে খবর। এই আবহে মুখ খুললেন তৃণমূল সেনাপতি।
সংসদের বাজেট অধিবেশনের জন্য বর্তমানে দিল্লিতে রয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। সোমবার সেখানেই তৃণমূলের সাংসদীয় টিমের সঙ্গে ঘরোয়া আলোচনায় বসেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। সেই সঙ্গেই সংবাদমাধ্যমের নানান প্রশ্নের উত্তর দেন। সেখানেই দলনেত্রীর সঙ্গে তাঁর ‘বিরোধে’র জল্পনা নিয়ে মুখ খোলেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ একধাক্কায় দ্বিগুণ? হু হু করে বাড়বে সরকারি কর্মীদের বেতন! কবে থেকে অ্যাকাউন্টে ঢুকবে?
তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমোর সঙ্গে তাঁর বিরোধ আছে কিনা জিজ্ঞেস করা হলে অভিষেক বলেন, ‘দলনেত্রীর সঙ্গে বিরোধ স্রেফ কিছু মানুষের ‘কষ্টকল্পনা’। এঁরাই জল্পনা তৈরি করেন, অপপ্রচার চালান। দলে কোনও বিরোধ নেই। দলের মধ্যে আমায়, দিদিকে নিয়ে যারা এসব কথা বলেন, তাঁরা কাল্পনিক প্রচার করেন। আমি স্ট্র্যাটেজি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লবি করব? আমার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’।
যদিও এই প্রথম নয়! এর আগেও মমতার সঙ্গে ‘বিরোধে’র জল্পনায় জল ঢেলেছেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। নেতাজি ইনডোরে আয়োজিত তৃণমূলের মেগা সভা থেকে তিনি বলেছিলেন, ‘অনেকে বলছে আমি নাকি বিজেপিতে চলে যাব। আমি নাকি নতুন দল তৈরি করছি। আমি বলছি, আমার গলা কেটে ফেললেও ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ’ স্লোগান বেরোবে’।