“হিজাব পরে হবে না ডিউটি!” স্বাস্থ্যকর্মীকে স্পষ্ট জানালেন নার্স, উত্তেজনা মালদায়

বাংলা হান্ট ডেস্ক: কর্ণাটকের হিজাব ঘটনার রেশ ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে গোটা দেশে। দিন কয়েক আগেই বিহারে হিজাব পরে আসায় এক মহিলাকে টাকা তোলার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জানায় একটি ব্যাঙ্ক। কিন্তু এবার আর বিহার নয়, বরং আমাদের রাজ্যেই ফের হিজাব বিতর্ক সামনে এসেছে।

জানা গিয়েছে যে, হিজাব পরে ডিউটিতে আসায় এক স্বাস্থ্যকর্মীকে বাধা দিয়েছেন এক নার্স। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার রতুয়ার ১ নম্বর ব্লকে। এদিকে, এই ঘটনার পরেই ওই স্বাস্থ্যকর্মী অভিযুক্ত নার্সের বিরুদ্ধে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।

সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, হিজাব পরে আসা ওই মহিলাটির নাম হল আনোয়ারা খাতুন। তিনি এএনএম কর্মীদের ইউনিফর্ম গোলাপি শাড়ি বা গোলাপি চুড়িদার না পরে হিজাব পরেই গ্রামের সাব সেন্টারে গিয়েছিলেন। আর এতেই আপত্তি জানান রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের নার্স শম্পা প্রামাণিক। তারপরেই এই ঘটনার সূত্রপাত।

এই প্রসঙ্গে আনোয়ারা অভিযোগ করেছেন যে, “ওই নার্স আগে কিছু বলেননি। মাস দু’য়েক আগেই আমাকে সবার সামনে বললেন যে, অফিসে হিজাব পরে আসা উচিত নয়। আমি প্রশ্ন করতেই তিনি প্রবল বকাঝকা শুরু করে দেন। এরপর বুধবার তিনি হঠাৎ করে আমার মাসিক রিপোর্ট না নিয়ে মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দেন।”

যদিও, এই পুরো ঘটনায় কোনো মন্তব্য করেননি শম্পা। তবে, এই প্রসঙ্গে রতুয়ার বিএমওএইচ মাসুদ রহমান বলেন যে, “এক এএনএমের কাছে থেকে এমন অভিযোগ পেয়েছি। এনিয়ে অবশ্যই তদন্ত হবে। ওপর মহলে আমি জানিয়ে দেব।”

efd0c the war on muslim women must stop

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই মুর্শিদাবাদের এক স্কুলে বোরখার বদলে স্কুল ইউনিফর্ম পরে আসতে বলায় তুমুল অশান্তি দেখা যায়। এমনকি, স্কুলে পাথর পর্যন্ত ছোঁড়ে উত্তেজিত জনতা। শেষ পর্যন্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষককে বদলিও করে দেয় সরকার।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর