সরকারি নিয়ম সত্ত্বেও ডিম নেই মিড-ডে মিলে! প্রশ্ন করতেই পড়ুয়াদের কপালে জুটল ঝাঁটার বাড়ি

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সরকারি স্কুলে মিড-ডে মিলের (Mid Day Meal) খাবার নিয়ে ইতিপূর্বে উঠে এসেছে একাধিক অভিযোগ। কখনও বাচ্চাদের রান্নার খাবারের মধ্যে পাওয়া গিয়েছে টিকটিকি কিংবা অন্যান্য পোকামাকড় আবার কখনও প্রশ্ন উঠেছে খাবারের গুণগত মান নিয়েও। তবে এবার প্রকাশ্যে এল একেবারে অন্যরকম এক ঘটনা।

সরকারি নিয়ম সত্ত্বেও ডিম নেই মিড-ডে মিলে (Mid Day Meal)!

সরকারি নির্দেশে প্রত্যেকটি স্কুলে দুপুরের খাবারে ডিম দেওয়া বাধ্যতামূলক। তবুও মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) খাবারে দেওয়া হয়নি ডিম। তা নিয়ে অভিযোগ তুলেছিল স্কুলেরই পঞ্চম শ্রেণীর এক পড়ুয়া। আর তাতেই তাকে ঝাঁটা মারার অভিযোগ উঠল রাঁধুনির বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই সেই ঘটনার ভিডিও (ভিডিওটির  সত্যতা যাচাই করেনি বাংলা হান্ট) ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

আরও পড়ুন: নওশাদকে আইনি নোটিশ পাঠালেন অভিষেক! কি হল হঠাৎ?

তবে এই ঘটনা বাংলার নয়! আসলে ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের একটি স্কুলে। সরকারি নতুন প্রকল্পের অধীনে প্রতিটি স্কুলের বাচ্চারা ডিম পাচ্ছে। কিন্তু কেরলের তিরুভান্নামালাই জেলার পোলুরের একটি সরকারি স্কুলে পড়ুয়াদের ডিম না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তাই রাঁধুনির কাছে ডিম না দেওয়ার কারণ জানতে চেয়েছিল পঞ্চম শ্রেণীর এক পড়ুয়া। অভিযোগ তখনই নাকি ওই অভিযুক্ত রাধুনী লক্ষ্মী তাকে মারধর করে। জানা যাচ্ছে এই ঘটনায় তাকে সাহায্য করেছিল সহকারী রাঁধুনী মুনিয়াম্মাল। সেই দৃশ্য ওই স্কুলেরই এক  চতুর্থ শ্রেণীর পড়ুয়া ক্যামেরা বন্দি করে। পরে সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

mid day meal scam controversy in sandeshkhali

ঠিক কি ঘটেছিল স্কুলে?

প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে ২ এপ্রিল পঞ্চম শ্রেণির ১০ বছর বয়সী এক ছাত্র লক্ষ্মীর কাছে জানতে চেয়েছিল দুপুরের খাবারে ডিম দেওয়া হয়নি কেন? তখন অভিযুক্ত রাঁধুনি এবং সহকারী রাঁধুনি দাবি করেন মোট ৪৩টি ডিম সিদ্ধ করা হয়েছিল। তার মধ্যে তিনটি ডিম নাকি খোসা ছাড়ানোর সময় ভেঙে গিয়েছে। তাই দেওয়া যায়নি।

ঘটনা প্রসঙ্গে সমাজকল্যাণ দপ্তরের কমিশনার জানিয়েছেন, অভিযুক্ত দুই রাঁধুনি লক্ষ্মী ও মুনিয়াম্মালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এমনকি কাজ থেকেও তাদের বহিস্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি এই ঘটনার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। কেন ডিম দেওয়া হচ্ছিল না, সেই বিষয়টিও নাকি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর

X