বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বলাগড়ের (Balagarh) নিত্যানন্দপুর জুনিয়র বেসিক হাই স্কুল! প্রায় তিন বছর আগে ২০২০ সালে শুরু হয় বিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন। প্রথম দিকে পঞ্চম, ষষ্ঠ ও অষ্টম এই তিন শ্রেণী মিলিয়ে পড়ুয়া সংখ্যা ছিল সাত জন। কিন্তু, বর্তমানে আরও বেহাল সেই পরিস্থিতি। বর্তমানে হাইস্কুলের পড়ুয়া গিয়ে ঠেকেছে পাঁচে। কেন এই দশা বিদ্যালয়ের? সরকারই বা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেনা কেন?
স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা জানিয়েছে, একসাথে পাঁচ জনের জন্য বেঞ্চের ব্যবস্থা নেই কক্ষে। ফলে কার্যত মেঝেতে প্লাস্টিক পেতেই পড়াশোনা করতে হয় তাদের। অন্যদিকে বিদ্যালয়ে নেই বিদ্যুতের ব্যবস্থাও। শীতকালে কড়া ঠান্ডায় যেমন মাটিতে বসে হয় পঠন-পাঠন তেমনি মাথার ওপর পাখা না থাকায় গরমের দিনে নাজেহাল পড়ুয়ারা।
শুধু তাই নয়, গোটা স্কুলে নেই একটাও শৌচালয়। নাই আছে পানীয় জলের ব্যবস্থা। অন্যদিকে, যেই মিড ডে মিল নিয়ে বর্তমান সময়ে এত অভিযোগ,এত চৰ্চা, সেই মিলের খাবার টুকু খেতেও পড়ুয়াদের যেতে হয় ১০০ মিটার দূরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। কারণ স্কুলে পাঁচ জনের জন্য কোনও মিড ডে মিলের ব্যবস্থা করা হয়নি।
ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে শান্তিতে থাকতে পারেননা অভিভাবকরাও। এক অভিভাবকের কথায়, ‘‘দু’বোতল জল দিয়ে পাঠাই মেয়েকে। বেশি তেষ্টা পেলে কী করবে? শৌচালয়ের সমস্যাটা বড়। শৌচালয়ের জন্য ওদের তো বাড়িতে আসতে হয়। এমন চলতে পারে না। আর স্কুলের পাশেই ঘন জঙ্গল আছে। সেটাও চিন্তার।’’
গোটা এই ঘটনায় সমস্যার কথা অবশ্য মেনে নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই নিয়ে স্কুলের এক শিক্ষক অসিত ঘোষ তিনি বলেন, ‘‘অবসর নেওয়ার পর দু’জন অতিথি শিক্ষক হিসেবে রয়েছি। পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। পড়ুয়া পাঠানোর জন্য বাড়ি গিয়ে অনুরোধ করি অভিভাবকদের।’’
সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে আশ্বাস দেন বিদ্যালয় পরিদর্শক সোনাক্ষী বিশ্বাস। তিনি বলেন, ” ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবেন বলেছেন।’’ বিডিও অবশ্য বলেন, ‘‘পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শৌচালয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে বিদ্যুতের ব্যবস্থা স্কুলকেই করতে হবে। “