বাংলাহান্ট ডেস্ক : বছরে যদি ৭.৭৫ লাখ টাকা আয় (Income) করে থাকেন তাহলে আয়কর (Income Tax) দিতে হবে না। এতদিন পর্যন্ত এই সীমা ছিল ৭.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। অর্থাৎ বার্ষিক ইনকাম যদি ৭.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হয় সেক্ষেত্রে কোন আয়কর (Income Tax) দিতে হতো না। তবে এবারের অর্থ বর্ষের বাজেটে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের পরিমাণ ২৫ হাজার টাকা বৃদ্ধি করে ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। তবে সে ক্ষেত্রে নতুন আয়কর (Income Tax) কাঠামো অনুসারে বর্ধিত স্টান্ডার্ড রিডাকশনের নিয়ম লাগু করতে হবে।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক নয়া আয়কর (Income Tax) কাঠামো:-
তিন লাখ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ে কোন আয়কর (Income Tax) লাগবে না। ৩ লাখ টাকা থেকে ৭ লাখ টাকা আয়ের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ, ৭ লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা আয়ের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ, ১০ লাখ টাকা থেকে ১২ লাখ টাকা ১৫ শতাংশ, ১২ লাখ টাকা থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ২০ শতাংশ এবং ১৫ লাখ টাকার ঊর্ধ্বে ৩০ শতাংশ কর দিতে হবে।
আরোও পড়ুন : এই বাঙালির দৌলতেই হাওড়া স্টেশনে বসেছিল বড় ঘড়ি!জানেন, কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে ছেড়েছিল প্রথম ট্রেন?
আয়কর আইনের ৮৭এ ধারা অনুসারে, ২০২৩ সালের বাজেটে সর্বোচ্চ রিবেট বৃদ্ধি করে ২৫ হাজার টাকা করা হয়েছিল। তবে ভারতে (India) নতুন বাজেট ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitaraman), সেক্ষেত্রে নয়া আয়কর কাঠামোর নিরিখে ৭.৭৫ লাখ টাকা বার্ষিক আয় করা ব্যক্তিকে স্ট্যান্ডার্ড রিডাকশনের আওতায় ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত করছাড়ের সুবিধা দেওয়া হবে।
অন্যদিকে, করযোগ্য আয় ঠেকবে সাত লাখ টাকায়। নয়া আয়কর কাঠামোর অধীনে যারা বার্ষিক ৭.৭৫ লাখ টাকা আয় করেন তাদের ক্ষেত্রে কোন আয়কর দিতে হবে না। বেতন বা স্যালারি হিসেবে পাওয়া অর্থের ওপর ৭৫ হাজার টাকা ক্লেম করা যাবে। স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ক্লেম করলে কমে যায় করযোগ্য আয়। সেক্ষেত্রে আয়করের (Income Tax) হারের মধ্যে বিরাট তফাৎ হয়।